অনলাইনে আর্থিক লেনদেন যত বাড়ছে, তত বেশি সামনে আসছে জালিয়াতির ঘটনা। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ইউপিআই-এর মাধ্যমে ১৩.৪২ লক্ষ ভুয়ো লেনদেন হয়েছে। ১,০৮৭ কোটি টাকার বেশি খুইয়েছেন মানুষ। আর ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে এই দুই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬.৩২ লক্ষ ও ৪৮৫ কোটি টাকা। এ বার প্রতারকদের ফাঁদ থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে পাঁচ দফা নির্দেশিকা জারি করল ডিজিটাল লেনদেনের নিয়ন্ত্রক ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’ (এনপিসিআই)।
এনপিসিআই বলেছে— কাউকে টাকা পাঠানোর আগে যেন লেনদেনকারী বিস্তারিত জেনে নেন। যে অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম মারফত পাঠানো হবে তা যেন বহুল প্রচলিত হয়। নতুন কোনও অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভাল। ইউপিআই পিন, পাসওয়ার্ড, ওটিপি কারও সঙ্গে আদানপ্রদান করতেও বারণ করা হয়েছে। ব্যবহার না করা অন্য কোনও উৎস থেকে আসা ওটিপি-কে এড়িয়ে যেতে হবে। বলা হয়েছে, সব তথ্য না দেখে দ্রুত লেনদেন করা থেকে বিরত থাকা উচিত প্রত্যেকের। অ্যাকাউন্ট থেকে ডিজিটাল লেনদেন হলেই ‘অ্যালার্ট’ আসার ব্যবস্থা চালু করে রাখতে হবে। তা পড়ে দেখাও জরুরি। ওটিপি বা টাকা লেনদেন হলে তার বার্তা যেন সঙ্গে সঙ্গে আসে। এতে প্রতারণা ঘটলে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেরি হবে না।
এনপিসিআই-এর বার্তা, নির্দেশ মানলে সম্পূর্ণ না হলেও, বেশ খানিকটা জালিয়াতি আটকানো যাবে। আরবিআইয়ের তথ্য বলছে, এখন মোট দৈনিক লেনদেনের প্রায় ৮৪% ইউপিআই দিয়ে হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই মাধ্যমে ১৩,১১৩ কোটি লেনদেন হয়েছে। তবে জালিয়াতির শীর্ষে কার্ড এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং। গত অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) মোট জালিয়াতির ৫৭% হয়েছে এ ভাবে।
প্রতারণা
২০২৩-২৪ সালে ইউপিআই-এ ১৩.৪২ লক্ষ ভুয়ো লেনদেন। আমজনতার ১০৮৭ কোটি টাকার বেশি উধাও।
গত অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে ভুয়ো লেনদেনের সংখ্যা ৬.৩২ লক্ষ, হারিয়েছে ৪৮৫ কোটি টাকা।
তবে এখনও জালিয়াতি বেশি কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং-এ।
নির্দেশিকা
লেনদেনের আগে ভাল করে তথ্য যাচাই করুন।
ব্যবহার করুন শুধুমাত্র জনপ্রিয় অ্যাপ।
পিন এবং ওটিপি কাউকে দেবেন না।
তাড়াহুড়ো করে সবটা না দেখে লেনদেন নয়।
লেনদেনের অ্যালার্ট চালু রাখুন। তা এলেই দেখুন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)