E-Paper

সরকারি খাতায় নামই নেই! বাড়তে বাড়তে দেশ জুড়ে অনথিভুক্ত সংস্থার সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাত কোটি

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক অনথিভুক্ত সংস্থার বার্ষিক সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২-২৩-এ অনথিভুক্ত সংস্থার সংখ্যা ছিল সাড়ে ছয় কোটি। ২০২৩-২৪ (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর)-এ তা বেড়ে ৭.৩৪ কোটিতে পৌঁছেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৭

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কোম্পানি আইন মেনে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত সংস্থা নয়। অথচ ছোট ছোট কারখানায় জিনিসপত্র উৎপাদন হচ্ছে, দোকানে কাজকারবার চলছে, ছোট ব্যবসায়িক সংস্থায় বিভিন্ন রকম পরিষেবার কাজও হচ্ছে। গোটা দেশে এখন এই রকম সংস্থার সংখ্যা ৭ কোটি ৩৪ লক্ষ। যার প্রতি চারটি সংস্থার মধ্যে একটি সংস্থার মালিক একজন মহিলা।

আজ কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক অনথিভুক্ত সংস্থার বার্ষিক সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২-২৩-এ অনথিভুক্ত সংস্থার সংখ্যা ছিল সাড়ে ছয় কোটি। ২০২৩-২৪ (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর)-এ তা বেড়ে ৭.৩৪ কোটিতে পৌঁছেছে। এই সংস্থাগুলির ২৬.২ শতাংশ মহিলা মালিকানাধীন। এই ৭.৩৪ কোটি সংস্থায় প্রায় ১২ কোটি ৬ লক্ষ মানুষ কাজ করছেন। এক বছরে এই সব সংস্থায় কর্মী সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ কোটি ১৯ লক্ষ। প্রায় ১০শতাংশের মতো।

অনেক সংস্থাতেই যিনি মালিক, তিনি কর্মীও। বাইরে থেকে নেওয়া কর্মীদের বেতন বছরে মাথা পিছু ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার মতো। সমীক্ষার দাবি, এক বছরে প্রায় ১৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থায়ী কর্মী হলে এই মাথা পিছু বেতন ২ লক্ষ ৯১ হাজার টাকার মতো। অস্থায়ী কর্মীদের বেতন কিছুটা কম। বছরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মতো। কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের যুক্তি, মূল্যবৃদ্ধির হারের থেকে বেতন বৃদ্ধির হার যথেষ্ট বেশি। যার অর্থ মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা সামলেও এই সংস্থাগুলির কর্মীদের বাস্তবিক বেতন বাড়ছে। তাঁর বক্তব্য, অনথিভুক্ত সংস্থা হলেও এগুলি অসংগঠিত ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে না।

কোভিড, লকডাউনের ধাক্কায় এই অনথিভুক্ত ছোট ছোট সংস্থাগুলিই সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছিল। এর আগের দু’টি বার্ষিক সমীক্ষায় সেই ছবি ধরা পড়েছিল। সেই তুলনায় ২০২৩-২৪-এ ১৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। নাগেশ্বরনের মতে, দেরিতে হলেও আর্থিক বৃদ্ধির সুফল এই ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে। কোভিডকালে কেন্দ্র যে ঋণ গ্যারান্টির প্রকল্প নিয়েছিল, ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’র মতো প্রকল্প নিয়েছিল, মহিলা উদ্যোগে জোর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। মহিলা চালিত অনথিভুক্ত সংস্থার হার ২৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৬.২ শতাংশ হওয়ার অর্থ, মহিলাদের ব্যবসায় অংশগ্রহণ ইতিবাচক ভাবে বাড়ছে।

পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সচিব সৌরভ গর্গ বলেন, ‘‘সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, কর্মীদের উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে। ২৭% সংস্থা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। আকারে ক্ষুদ্র হলেও এই সংস্থাগুলি জীবিকা, পণ্য-পরিষেবার জোগান ও বিপুল সংখ্যক মানুষকে কর্মসংস্থান দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Women Entrepreneur Women Empowerment Women Business

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy