ফাইল চিত্র।
নতুন বছর শুরুর আগেই ওমিক্রনের ঢেউ ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আছড়ে পড়ে। ফলে ফের সংশয় তৈরি হয়েছে স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখা নিয়ে। এর আগে অতিমারির প্রথম দিকে তেলের চাহিদা কমায় তার দরের পতন রুখতে রেকর্ড পরিমাণে অশোধিত তেলের উৎপাদন ছাঁটাই করেছিল তেল রফতানিকারী দেশগুলির গোষ্ঠী ওপেক ও তাদের সহযোগী দেশগুলি। তবে গত কয়েক মাসের মতো আগামী ফেব্রুয়ারিতেও দৈনিক উৎপাদন বৃদ্ধি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিল সেই বৃহত্তর ওপেক গোষ্ঠী। সে ক্ষেত্রে অশোধিত তেলের দরে রাশ পড়ে কি না এবং তার জেরে ভারতের মতো তেল আমদানিকারী দেশগুলিতে পেট্রল-ডিজ়েলের দর কমে কি না, তা নিয়ে বাজারে জল্পনা শুরু হয়েছে।
২০২২ সালের শুরুতেই লাফিয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। তার প্রভাবে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নতুন করে। শিল্প ক্ষেত্রের কার্যকলাপ ধাক্কা খেলে কমতে পারে তেলের চাহিদা। তার আগেই অবশ্য অশোধিত তেলের চড়া দর নিয়ন্ত্রণে আনতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ওপেকের সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করে আমেরিকা, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ। কিন্তু তেল রফতানিকারী দেশগুলি তাতে সাড়া দেয়নি। তবে চাহিদার কথা মাথায় রেখে গত অগস্ট থেকে প্রতি মাসে দৈনিক অতিরিক্ত চার লক্ষ ব্যারেল অশোধিত তেল উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
এ দিন সৌদি আরব, রাশিয়া-সহ ২৩টি দেশের বৃহত্তর ওপেক গোষ্ঠী সেই পরিকল্পনা আগামী মাসেও কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপদেষ্টা মহলের একাংশ অবশ্য ওই বৈঠকের আগেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছিল। তাদের বক্তব্য, ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সংক্রমণের তীব্রতা কম। তেলের চাহিদাও কমেনি। ঘটেনি দরের পতনও। বরং এখন তা আবার ঊর্ধ্বমুখী। অদূর ভবিষ্যতেও তেলের চাহিদা বজায় থাকারই সম্ভাবনা।
তবে অশোধিত তেলের বাড়তি জোগান পেট্রল-ডিজ়েলের চড়া দরে কতটা রাশ টানতে পারে, প্রশ্ন সেটাই। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চাহিদার তুলনায় সেই জোগান যথেষ্ট হলে হয়তো ফের কিছুটা রাশ পড়তে পারে অশোধিত তেলের দামে। কিন্তু জোগান অপ্রতুল হলে তা বাড়তে পারে ফের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy