এক দিকে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ। অন্য দিকে ব্রেক্সিট ঘিরে আশঙ্কা। এই জোড়া ফলায় সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ধাক্কা খেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন অর্থনীতিবিদদের বড় অংশ। ফলে কমতে পারে চাহিদা। কিন্তু এরই বিপরীতে, গত ডিসেম্বর থেকে অশোধিত তেলের উৎপাদন দৈনিক ১২ লক্ষ ব্যারেল করে ছাঁটাই করে চলেছে তেল রফতানিকারীদের সংগঠন ওপেক গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী দেশগুলি। সঙ্গে রয়েছে ইরান ও ভেনেজুয়েলার মতো তেল রফতানিকারী দেশগুলির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও। ফলে চাহিদা ও জোগানের এই টানাটানির উপরেই দীর্ঘ মেয়াদে তেলের দাম নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওপেক এবং আমেরিকা এ রকমই অনমনীয় থাকলে বছরের মাঝামাঝি সময়ে তেলের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। অন্তত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অশোধিত তেলের দামের গতিপ্রকৃতি দেখে তেমনই মনে করা হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে ব্রেন্ট ক্রুড এবং আমেরিকার অশোধিত তেল, দু’য়েরই দাম বেড়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থ দফতরের অন্যতম আন্ডার সেক্রেটারি সাইগাল মান্ডেলকার জানিয়েছেন, ইরানের উপরে আমেরিকা আরও চাপ বাড়াবে। কারণ, এখনও নানা কৌশলে বিভিন্ন দেশে জাহাজে করে তেল পাঠাচ্ছে তারা। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে যাতে তেলের দাম না কমে তার জন্য সৌদি আরবের নেতৃত্বে অনেক দিন ধরেই মরিয়া ওপেক গোষ্ঠীও। ডিসেম্বর থেকে তেলের উৎপাদন ছাঁটাই করে চলেছে তারা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল তাদের। কিন্তু তা বাতিল করে জুন পর্যন্ত সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মাসের ২৫ ও ২৬ তারিখ ভিয়েনায় বৈঠক হতে পারে।
ওপেক সূত্রের খবর, রাশিয়া সেপ্টেম্বরের পর আর উৎপাদন ছাঁটাই করতে না চাইলেও সৌদি অনড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy