ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিতে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা! পুরোদস্তুর লড়াইয়ের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই করাচির শেয়ার বাজারে নামল ধস। বুধবার, ৩০ এপ্রিল, বাজার খোলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ১,৭০০ পয়েন্ট পড়ে যায় স্টকের সূচক। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ইসলামাবাদের আর্থিক ব্যবস্থা যে অচিরেই ভেঙে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
পাক সংবাদ সংস্থা ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা তীব্র হওয়ায় দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে পাত্তাড়ি গোটাচ্ছেন লগ্নিকারীরা। এ দিন পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের বেঞ্চমার্ক কেএসই-১০০র সূচক ১,৭১৭.৩৫ পয়েন্ট নামতেই স্টক বিক্রির জন্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পড়ে যায় হুড়োহুড়ি। সকাল ১০টার মধ্যে এই বাজারে ১.৫ শতাংশের পতন দেখা গিয়েছিল, যা অব্যাহত থাকবে বলে মিলেছে পূর্বাভাস।
এদিন বাজার বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় কেএমই-১০০ মোট ৩,৫৪৫.৬১ পয়েন্ট পড়ে গিয়েছে। ফলে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ৩.০৯ শতাংশ নেমে যায়। দিন শেষে ১,১১,৩২৬.৫৭ পয়েন্টে পৌঁছে দৌড় থামায় কেএমই-১০০।
পাক ব্রোকারেজ় ফার্ম একেডি সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর অফ রিসার্চ আওয়াস আশরফ বলেছেন, ‘‘ভারতের সম্ভাব্য ফৌজি অপারেশন নিয়ে লগ্নিকারীরা উদ্বিগ্ন। তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারের সাংবাদিক বৈঠকের পর সেটা আরও তীব্র হয়েছে। সেই কারণেই সকলে বাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন।’’
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল গভীর রাতে (স্থানীয় সময় অনুসারে রাত ২টো) আপৎকালীন সাংবাদিক বৈঠক করেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। সেখানে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা-তথ্য পেয়েছি যে, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে।” তাঁর ওই মন্তব্যের পর দেশ জুড়ে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, মঙ্গলবার তিন সেনাপ্রধান এবং বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (পড়ুন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠকের পর ইসলামাবাদের উপর প্রত্যাঘাতের দায়িত্ব পুরোপুরি ফৌজের উপর ছেড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পর থেকেই বদলার সুযোগ খুঁজছে ভারত।