ফাইল চিত্র।
সমস্যা মিটছে না কাঁচা পাট ঘিরে। এক দিকে, তা মজুতের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় পাটজাত পণ্য প্রস্তুতকারক রফতানিকারী সংস্থাগুলি ধাক্কা খাচ্ছে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, কাঁচা পাটের দর বাধা নিয়ে ক্ষুব্ধ চটকল মালিকপক্ষ দ্বারস্থ হল কলকাতা হাই কোর্টের। এই পরিস্থিতিতে রফতানিকারীদের সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন বাণিজ্য ও বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তবে একই সঙ্গে তাঁর কার্যত অভিযোগ, চট শিল্পের একাংশ পাট মজুত করে রেখে আবার দাম বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছে। এটা চলতে দেওয়া যায় না।
কোনও চটকল ৪৫ দিনের বেশি কাঁচা পাট জমা রাখতে পারবে না বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন জুট কমিশনার। এতে সমস্যায় পড়েছে রফতানিকারী সংস্থাগুলি যারা নিজেরা পণ্য তৈরি করে। মন্ত্রীর কাছে চলতি সপ্তাহেই মার্চেন্ট চেম্বারের এক ভার্চুয়াল সভায় সেই কথা তুলে ধরেন পাটজাত পণ্য রফতানিকতারী সংস্থা গ্লস্টার জুট মিলের চেয়ারম্যান হেমন্ত বাঙ্গার। তাঁর দাবি, রফতানির বরাত দীর্ঘ দিনের মেয়াদে হয়। তাই বরাতে উল্লিখিত পণ্যের দাম এবং মান ঠিক রাখতে তা তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় কাঁচা পাট মজুত রাখা জরুরি। কিন্তু তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় পণ্যের দাম ও মানের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এরই উত্তরে বিষয়টি বস্ত্র মন্ত্রক খতিয়ে দেখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
এ দিকে, বেশি ফলন সত্ত্বেও কাঁচা পাটের দাম বাড়তে থাকায় জুট কমিশনার পণ্যটির সর্বোচ্চ দর কুইন্টালে ৬৫০০ টাকায় বেঁধে দেন। কিন্তু চটকল মালিকদের অভিযোগ, বাজারে ওই দামে তা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং প্রতি কুইন্টাল ৭০০০-৭২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জুট কমিশনারের কাছে দামের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ না হয়নি। তাই সেই নির্দেশ খারিজের আর্জি জানিয়ে তারা মামলা করতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র। যদিও এ বিষয়ে শিল্পের একাংশকেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন গয়াল।a
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy