কেন্দ্র দাবি করেছিল, ভারতীয় পণ্যের উপরে আমেরিকার চাপানো ২৫% শুল্ক তেমন ধাক্কা দেবে না। তবু উদ্বিগ্ন রফতানি শিল্পের একাংশ। বিশেষত যে সব পণ্যের বড় বাজার ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ, সেগুলি নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে রফতানিকারীদের সঙ্গে শুল্কের প্রভাব এবং তা সামলানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার থেকে তিন দিনের বৈঠক শুরু করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। পরে এক্স-এ লিখেছেন, বস্ত্র, ইস্পাতের মতো ক্ষেত্রের রফতানিকারীদের সঙ্গে মুম্বইয়ে বৈঠক করেছেন। কথা হয়েছে বাণিজ্য-কৌশল নিয়ে।
বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বারের জাতীয় বস্ত্র কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার জৈন বলেন, ‘‘সমস্যা যুঝতে কেন্দ্রের সাহায্য জরুরি। আমেরিকায় বছরে ১০০০ কোটি ডলারের বস্ত্র রফতানি করে ভারত। প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ. ভিয়েতনাম, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া। অথচ তাদের উপর ১৯-২০ শতাংশ শুল্ক। ভারত তো এখানেই পিছিয়ে পড়ল।’’ আমেরিকায় রফতানিতে কেন্দ্রের কাছে ৫% আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা। ভারতে তুলো আমদানিতে বসা ১১% শুল্কও তুলে নিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, খরচ কমানো, উদ্ভাবন, প্রতিযোগিতায় টক্কর নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি, ধারাবাহিক অগ্রগতি, নতুন বাজারের খোঁজ ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে। ইস্পাত শিল্পের সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তি, দেশে আরও বেশি লৌহ আকর উত্তোলন, পরিবহণ খরচ কমানো এবং ছোট শিল্পকে দক্ষ করে তোলা জোর পেয়েছে। বস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে ভারতের উঠে আসার পরিকল্পনা। এ দিকে শনিবার মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার দাবি, গাড়ি ক্ষেত্রের উপর ২৫% শুল্ক ভারতকে প্রতিযোগিতায় এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছনে ঠেলে দেবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)