Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Banks

ব্যাঙ্ক বিলগ্নিতে তাড়া প্রধানমন্ত্রীর দফতরের

করোনার ধাক্কায় সরকারের রাজস্ব আয় তলানিতে। অথচ খরচ বাড়ছে লাফিয়ে। অবস্থা সামলাতে তাই ভরসা বিলগ্নিকরণ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি ও মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২০ ০৭:২৮
Share: Save:

মোদী সরকারের দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে এমন ভাবে যে, আসরে নামতে হল খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে। কেন্দ্রীয় সূত্র জানাল, ওই দফতর চাইছে চলতি অর্থবর্ষেই অন্তত চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সরকারের অংশীদারি কমানো হোক। যেগুলিতে সর্বাধিক শেয়ার আছে তাদের। আধিকারিকদের সেই প্রক্রিয়ায় গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে তারা। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, রাজকোষ ভরতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে মাঠে নামতে হলেও, এখন ওই অংশীদারি কিনবে কে? শেয়ারের ঠিক মূল্যও মিলবে কি? তাড়াহুড়ো করে এগোলে লাভের প্রশ্নে আপস করতে হবে না তো!

করোনার ধাক্কায় সরকারের রাজস্ব আয় তলানিতে। অথচ খরচ বাড়ছে লাফিয়ে। অবস্থা সামলাতে তাই ভরসা বিলগ্নিকরণ। সূত্রের খবর, এ জন্য নাম উঠছে পঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র, ইউকো ব্যাঙ্ক, আইডিবিআই ব্যাঙ্কের। এর মধ্যে শুধু আইডিবিআই ব্যাঙ্কের সিংহভাগ অংশীদার নয় কেন্দ্র। তাদের হাতে এখন ৪৭.১১%। আর জীবনবিমা নিগমের হাতে ৫১%।

পারস্পরিক সংযুক্তি মারফত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা ছাঁটার পথে ইতিমধ্যেই হাঁটতে শুরু করেছে সরকার। ব্যাঙ্কিং মহলের দাবি, করোনার আবহে বহু ব্যাঙ্কে অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ার আশঙ্কা মাথা তুলতেই সেখানে মূলধন জোগানোর দাবি জোরালো হয়েছে। সূত্রের বক্তব্য, ওই অর্থ সংগ্রহের জন্যও ব্যাঙ্ক বিলগ্নিকরণে এত তাড়া।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণ কঠিন। কারণ, অনুৎপাদক সম্পদ বাড়ার অর্থ লাভে টান বা ক্ষতি। সরকারি আধিকারিকদের একাংশই বলছেন, আগে বরং ব্যাঙ্কের খরচ কমাতে আর্থিক পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হোক। যেমন, স্বেচ্ছাবসর, লোকসানে চলা শাখা বন্ধ ইত্যাদি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Banks Disinvestment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE