ব্যক্তিগত জীবন বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামকে জিএসটি মুক্ত করা হলেও তার পুরো সুবিধা গ্রাহক কতটা পাবেন, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। সেগুলিতে জিএসটি না বসায় বিমা সংস্থাগুলি আগে মেটানো করের টাকা ফেরত (আইটিসি) চাইতে পারবে না। সূত্রের ইঙ্গিত, সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই আগামী দিনে কিছু ক্ষেত্রে মূল প্রিমিয়ামের অঙ্ক বাড়ানো হতে পারে। যদিও বিমা কর্তাদের একাংশের মতে, প্রিমিয়াম বৃদ্ধি শেষ বিকল্প। প্রথমে ক্ষতি বহনের চেষ্টা করে সংস্থা। তার পরে এজেন্টদের কমিশন বাবদ খরচ কমায়। শেষে অন্য কোনও উপায় না থাকলে, প্রিমিয়াম বাড়ে।
বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারের কর সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান বিবেক জালান বলেন, “জিএসটির আইন অনুসারে, কোনও পণ্যে করের হার শূন্য হলে তাতে আইটিসি মেলে না। তাই সংস্থাগুলি বিমার প্রকল্প বিক্রি করতে আগে যে কর মিটিয়েছে, তার জন্য আইটিসি খাতে টাকা ফেরত পাবে না।’’ সূত্র বলছে, এতে সর্বোচ্চ ৫% লোকসান হতে পারে। এলআইসি-র বিপণন বিভাগের প্রাক্তন কর্তা অরূপ দাশগুপ্ত জানান, এর ফলে ব্যবসা চালাতে স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলির খরচ বাড়বে ৩-৫ শতাংশ। জীবন বিমায় তা ০.৫-১.৫ শতাংশ। সংস্থাগুলির আরও একটি চ্যালেঞ্জ, তাদের বর্তমান প্রকল্পগুলির দাম বা প্রিমিয়ামের হার ঠিক করার অন্যতম ভিত্তি ছিল আইটিসির টাকা।
অরূপ অবশ্য বলছেন, ‘‘তিনটি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, ক্ষতি মেনে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রকল্প বিক্রির জন্য এজেন্টদের কমিশন কমিয়ে খরচ কমানো। তৃতীয়ত, প্রিমিয়াম বৃদ্ধি। সেটা হলে, করছাড়ের পুরো সুবিধা নিতে পারবেন না গ্রাহক।’’ তাঁর মতে, সংস্থাগুলি ক্ষতি স্বীকারে রাজি হবে কি না সন্দেহ আছে। এজেন্টদের কমিশন সম্প্রতি সংশোধিত হয়েছে। ফের তা করা মুশকিল। ফলে করছাড়ের সুবিধা কমিয়ে প্রিমিয়াম বাড়িয়ে সমস্যা মেটাবে না সংস্থা, বলা কঠিন। তবে সেই আশঙ্কা কম, দাবি এইচডিএফসি আরগো জেনারেল ইনশিয়োরেন্সের এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থনীল ঘোষের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)