প্রতীকী ছবি।
টানা আড়াই মাস লকডাউনের মূল্য অর্থনীতিকে কী ভাবে চোকাতে হচ্ছে, বিভিন্ন পরিসংখ্যানে তা স্পষ্ট হচ্ছে রোজ। বুধবার কেন্দ্রের হিসেব, অগস্টে দেশের আটটি প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় সরাসরি ৮.৫% কমেছে। এই নিয়ে টানা ছ’মাস পরিকাঠামোয় সঙ্কোচন দেখল দেশ। যা তেমন অপ্রত্যাশিতও নয়। তবে ভয় ধরিয়েছে সেই সঙ্কোচনের গতি। কারণ, জুলাইয়ের থেকে অগস্ট উৎপাদন কিছুটা বাড়ার বদলে আরও কমে গিয়েছে। যার জেরে শিল্পোৎপাদনের পরিস্থিতি নিয়েও এমনই আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে। কারণ, শিল্পোৎপাদনের সূচকে এই আট ক্ষেত্রের গুরুত্ব ৪০.২৭%।
দেশের অর্থনীতিতে অতিমারির ঝাপটা লাগার পরে এপ্রিলে পরিকাঠামো ক্ষেত্র ৩৭.৯% সঙ্কুচিত হয়েছিল। তার পর জুলাই পর্যন্ত তা সঙ্কোচনের গণ্ডিতে থেকে গেলেও, তার হার মন্থরও হচ্ছিল দ্রুত। কিন্তু অগস্টে পরিকাঠামো শিল্প আরও একটু উন্নতির পথে তো হাঁটেইনি, বরং সঙ্কোচনের হার কিছুটা বেড়েছে। এই অবস্থায় তা ঘুরে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধির গণ্ডিতে ফের কবে পা রাখতে পারবে, তা অনিশ্চিতই। এপ্রিল-অগস্টে সামগ্রিক ভাবে সঙ্কোচনের হার ১৭.৮%।
লকডাউন শিথিল হওয়ার সময় থেকেই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন কেন্দ্রের মন্ত্রী-আমলারা। যদিও বিভিন্ন মূল্যায়ন সংস্থা থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদদের বড় অংশই উল্টো কথা বলছেন। জানিয়েছেন, খরচ করার ক্ষমতা আবার ফিরে না-এলে তার প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে সমস্ত ক্ষেত্রে। চাহিদা না-বাড়লে শুধু পণ্য বা পরিষেবা নয়, বিরূপ প্রভাব পড়বে কাঁচামালের স্তর পর্যন্ত। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি পরিসংখ্যানেই। ব্যতিক্রম নয় পরিকাঠামো ক্ষেত্রও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy