Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Share Market

Share market: দু’দিনের ধসে মুছল ৯.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা

ভারতের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগ তুলে নেওয়াই টাকার পতনের প্রধান কারণ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২২ ০৫:৪১
Share: Save:

আমেরিকার মূল্যবৃদ্ধি নতুন করে ৪০ বছরের রেকর্ড ভাঙার খবর এসেছিল গত সপ্তাহের শেষে। এর জেরে সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ যে আরও বেশি এবং দ্রুত সুদের হার বাড়াবে, সেটাও স্পষ্ট হচ্ছে। আর সেই আশঙ্কাই সোমবার সপ্তাহের শুরুতে বিশ্ব জুড়ে টেনে নামাল শেয়ার বাজারকে। ভারতে সেনসেক্স পড়ল ১৪৫৭ পয়েন্ট, নামল ৫২,০০০-এর ঘরে। শুক্রবারের পরে এ দিনের পতনে বিএসই-র লগ্নিকারীরা হারালেন মোট ৯.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। নিফ্‌টিও পড়ল ৪০০ পয়েন্টের বেশি। আশঙ্কা, আগামী দিনে বাজার আরও পড়তে পারে।

তার উপরে এ দিন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দর নেমেছে রেকর্ড তলানিতে। এই প্রথম ডলার ছাড়িয়েছে ৭৮ টাকা। ১ ডলার ১১ পয়সা বেড়ে থেমেছে ৭৮.০৪ টাকায়। ভারতের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগ তুলে নেওয়াই টাকার পতনের প্রধান কারণ। বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, আমেরিকায় সুদ বাড়ায় সেখানের বন্ডের বাজারে টাকা ঢালছে সংস্থাগুলি। সেই পুঁজি জোগাড়ের জন্য গত ছ’মাসে ভারতে তারা বিক্রি করেছে ২৩০০ কোটি ডলারের (প্রায় ১,৭৯,৪০০ কোটি টাকা) শেয়ার। এ দিনের বিক্রি ৪১৬৪ কোটি টাকার। যা সূচককে টেনে নামিয়েছে।

এই অবস্থায় আপাতত বাজারে পতন বহাল থাকবে বলেই ধারণা। বাজার বিশেষজ্ঞ আনন্দ পারেখ বলেন, ‘‘অশোধিত তেলের দাম ফের বাড়ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার লক্ষণ নেই। এ বার আমেরিকা আরও সুদ বাড়ালে সূচক পড়বে।’’ ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখের আশঙ্কা, সূচক আরও ১০%-১৫% পড়তে পারে।

এ দিকে, গত শুক্রবার এলআইসি-র শেয়ার দরের পতন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল খোদ কেন্দ্র। সোমবার বিএসই-তে সেই দর নামে ৫.৮৫%, থামে ৬৬৮.২০ টাকায়। প্রথম শেয়ার ছাড়ার সময়ে শেয়ার দর ধরা হয়েছিল ৯৪৯ টাকা। নথিভুক্তির পর থেকে পড়েছে ২৯.৫৯%।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Share Market BSE SENSEX
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE