দীর্ঘ দিনের জল্পনা ও আশঙ্কায় ইতি। বুধবার আলজিরিয়ায় আয়োজিত বৈঠকে তেল উৎপাদন কমাতে রাজি হয়ে গেল ১৪টি রফতানিকারী দেশের সংগঠন ওপেক। ২০০৮ সালের পরে এই প্রথম। দিনে ৭.৫০ লক্ষ ব্যারেল উৎপাদন ছাঁটতে একমত হয়েছে সকলে।
খানিকটা আচমকাই আসা এই খবরে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম এক ধাক্কায় বেড়ে যায় ৬%। কারণ, বাজার ধরেই নিয়েছিল আগের বৈঠকগুলির মতো উৎপাদন কমানো নিয়ে ব্যর্থ আলোচনার সাক্ষী হয়ে থাকবে আলজিরিয়াও। বিশেষত ক’দিন আগে তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরানও যেখানে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিল।
গত দেড়-দু’বছরে বিশ্ব বাজারে তেল ব্যারেলে ১১৫-১২০ ডলার থেকে নেমেছে ৩০-৩৫ ডলারে। মাঝে-মধ্যে কিছুটা বাড়লেও, চাহিদায় ভাটা ও বাড়তি জোগান দরকে তলানি থেকে তেমন মাথা তুলতে দেয়নি। ফলে আয় হারানোর তীব্র অভিঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে সৌদি আরবের মতো তেল নির্ভর বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি। যে কারণে দর আরও পড়া রুখতে উৎপাদন কমানোর দাবি ক্রমশ জোরালো হয় সারা বিশ্বে। বেশির ভাগ তেল উৎপাদনকারীও যাতে সামিল ছিল। কিন্তু মূলত সৌদি আরব-ইরানের মতবিরোধের জেরে এর আগে এ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনো যায়নি। এ বার সেই বরফই গলেছে।
ওপেক সদস্যরা উৎপাদন দিনে ৩.২৫-৩.৩০ কোটি ব্যারেলের মধ্যে কমিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে। তবে কে কতটা উৎপাদন করবে সেই সিদ্ধান্ত হবে নভেম্বরের বৈঠকে। যেখানে রাশিয়ার মতো ওপেক বহির্ভূত তেল উৎপাদনকারীদেরও ছাঁটাই কর্মকাণ্ডে সামিল হতে বলা হবে। ইরানের তেলমন্ত্রী এ বার ওপেকের সিদ্ধান্তকে ‘ব্যতিক্রমী’ তকমা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy