—প্রতীকী চিত্র।
প্রশ্ন চিহ্ন সেই কম দামি যাত্রিবাহী গাড়ির বাজার ঘিরেই। গত মাসে দেশে তার আগের বছরের অগস্টের তুলনায় সেগুলির পাইকারি বিক্রি (ডিলার বা বিক্রেতাদের কাছে সংস্থার বিক্রি) কমেছে ১০%। তবে তার সঙ্গে কেজো গাড়ি (ইউটিলিটি ভেহিক্ল বা ইউভি) এবং ভ্যান ধরলে সার্বিক যাত্রী যান বিকিয়েছে ৯.৪% বেশি।
গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম সোমবার জানিয়েছে, ২০২২-এর অগস্টে ১,৩৩,৪৭৭টি যাত্রিবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছিল। এ বার হয়েছে ১,২০,০৩১টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এই বাজারের আওতায় বেশিরভাগই কম দামি ‘হ্যাচব্যাক’ ও ‘সেডান’। কিছু দামি গাড়িও রয়েছে তাতে, তবে সংখ্যায় কম। তাদের দাবি, দেশের সর্বত্র, বিশেষত গ্রামীণ বাজারে আর্থিক অবস্থার তেমন উন্নতি ঘটেনি। শহরাঞ্চলেও অতিমারির পরে আয় বাড়েনি বহু মানুষের। বেকারত্ব চড়ায় আর্থিক বৈষম্যও প্রকট। সেই বৈষম্যকেই তুলে ধরছে দামি গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধি। কারণ, তাতে স্পষ্ট মুষ্টিমেয় কিছু বিত্তবান আরও ধনী হয়েছেন। কিন্তু কম দামি গাড়ি কেনেন যাঁরা, সেই অংশ মুখ ফিরিয়ে। গ্রামীণ বাজারে দু’চাকার চাহিদাও অতিমারির পর থেকে সঙ্কটে। সিয়ামের হিসাবে, সেগুলির বিক্রি গত মাসে বেড়েছে মাত্র ০.৫৯%।
বস্তুত, ইউভি-র দাম বেশি। এর মধ্যে আবার ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্ল’-এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ইউভি-র বিক্রি ১.৩৫ লক্ষ থেকে বেড়ে ১.৮১ লক্ষে পৌঁছেছে, জানিয়েছে সিয়াম। এই গাড়িগুলি বড়। যাত্রীর পাশাপাশি বেশি পণ্য পরিবহণ করে। তবে শিল্পের আশা, উৎসবের মরসুমে সব গাড়ির বিক্রিই বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy