ফাইল চিত্র।
পুরোধা প্রধানমন্ত্রীই। এর পর থেকে কেউ উত্তর এড়িয়ে গেলেই অনেকের মনে পড়ে নরেন্দ্র মোদীর সেই কথা— ‘‘চলিয়ে পুদুচেরি কো ভনক্কম।’’ বাংলা করলে ‘চলুন পুদুচেরিকে নমস্কার’। তেল নিয়ে প্রশ্ন এড়ানোয় মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বেলাতে টুইটে সেই কথা তুলেই কটাক্ষ করলেন রাহুল গাঁধী।
বছর দেড়েক আগের কথা। দিল্লি থেকে ভিডিয়ো মারফত দক্ষিণের রাজ্যে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন মোদী। এক কর্মী মধ্যবিত্তদের থেকে দেদার কর নেওয়ার অভিযোগ করলেন। সরাসরি জবাব এড়াতে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘‘চলুন পুদুচেরিকে নমস্কার।’’ গত শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে অর্থমন্ত্রীকে যখন প্রশ্ন করা হয়, অশোধিত তেলের দাম যে কমছে, শুল্ক কমিয়ে গ্রাহকদের তার সুবিধা দেওয়া হবে? এক গাল হেসে সাংবাদিক বৈঠক শেষ করার ইঙ্গিত দিয়ে উঠে পড়েন অর্থমন্ত্রী। তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে, মোদীর মতোই ‘ভনক্কম’ বললেন তিনি।
সেই ভিডিয়োই রবিবার টুইটে পোস্ট করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি লেখেন, ‘‘তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমার সুবিধা মানুষকে দিন, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমিয়ে। সেই পরামর্শে নজর না-দিয়ে আমাদের প্রতিভাবান তো উল্টে শুল্কই বাড়িয়ে দিলেন!’’
গত বুধবার রাহুল টুইট করে পেট্রল-ডিজেলের দাম নিয়ে মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। লিখেছিলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচিত কংগ্রেস সরকারকে অস্থির করতে ব্যস্ত বলে হয়তো খেয়াল করেননি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর ৩৫% পড়েছে। আপনি কি পেট্রলের দাম লিটারে ৬০ টাকার নীচে নামিয়ে মানুষকে সুবিধা দিতে পারেন না?’’ তার পরেই শুক্রবার নির্মলার উত্তর না-দেওয়া, উল্টে শনিবার থেকে লিটারে ৩ টাকা শুল্ক বাড়ানোর পরে রাহুল আজ আবার তোপ দাগলেন।
নির্মলা যদিও শনিবারই বলেছেন, ‘‘তেলের দর তো বাড়েনি। বরং দেশের সর্বত্রই কমেছে।’’ কেন্দ্রের যুক্তি, শুল্ক বাড়িয়েও দাম কমেছে। কংগ্রেস বুঝছে, ঝিমুনির আবহে এ পথে আয় বাড়াতে চায় কেন্দ্র। শশী তারুরের রসিকতা, ‘‘তেল গিয়েছে তেল আনতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy