প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের ‘খেসারত গুনে’ এপ্রিল, মে-তে দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছিল রকেট গতিতে। ঘরবন্দি দশা শিথিল হতেই জুনে তা নেমেছে দ্রুত। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, এখনকার উচ্চতা থেকে ওই হারকে আরও নামাতে বিস্তর কসরত করতে হবে অর্থনীতির গতি ফেরানোর জন্য। কিন্তু কর্মীর অভাব, অর্থনীতিতে জাঁকিয়ে বসা অনিশ্চয়তা ও চাহিদায় ভাটার কারণে বড় কল-কারখানা, শিল্পতালুক চালু করা যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যানেও।
উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র হিসেব, জুনে বেকারত্ব ১০.৯৯%। এপ্রিল ও মে-র প্রায় অর্ধেক। কিন্তু তেমনই লকডাউন শুরুর সময়ে (মার্চে ৮.৭৫%) যা ছিল, জুনে ওই হার তার থেকেও বেশ উপরে। এনএসএসও-র পরিসংখ্যানে বেকারত্ব ৬.১% হওয়াতেই হৈচৈ পড়েছিল। কারণ, তা ছিল সাড়ে চার দশকে সর্বোচ্চ। ফলে বেকারত্বের হার যে আরও অনেক কমা জরুরি, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই কারও। অথচ সপ্তাহ তিনেক ধরে তা দাঁড়িয়ে প্রায় একই জায়গায়।
বড় কারখানা চালু যে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা কিছুটা স্পষ্ট রাজ্যওয়াড়ি হিসেবে। যে সব রাজ্যে বেকারত্ব জুনে চড়া, তাদের অনেকগুলিতেই বড় কারখানা বা শিল্পতালুক আছে। যেমন, হরিয়ানা (৩৩.৬%), পঞ্জাব (১৬.৮%), রাজস্থান (১৩.৭%), তামিলনাড়ু (১৩.৫%), তেলঙ্গানা (১৫.৫%)। বড় শিল্পে নির্ভরতা কম থাকা কিছু রাজ্যে ওই হার বেশ কম। মেঘালয় (১.১%), অসম (০.৬%), সিকিম (৪.৭%)। পশ্চিমবঙ্গে এই হার ৬.৫%। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। শিল্পোন্নত গুজরাতে যেখানে বেকারত্ব ২.৮%, সেখানে সে ভাবে বড় শিল্প না-থাকা ত্রিপুরায় তা ২১.৩%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy