—প্রতীকী ছবি।
জোগান কিছুটা বেড়েছে। তার দরুন আনাজ ও খাদ্যপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা থাকলেও, তেলের চড়া দরের জন্য ফের খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)। শুক্রবার ঋণনীতিতে শীর্ষ ব্যাঙ্কও পেট্রল-ডিজেলের দরের সর্বকালীন রেকর্ড গড়ার কথা উল্লেখ করেছে। জ্বালানি খরচ বৃদ্ধির জেরে মূল্যবৃদ্ধির হার যাতে না-বাড়ে, সে জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির উদ্দেশে তাদের বার্তা, তেলে শুল্ক কমিয়ে তারা একযোগে নীতিগত পদক্ষেপ করুক।
করোনার মধ্যেও গত বছর থেকেই লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম। গত তিন দিন টানা দৌড়নোর পরে আজ, শনিবার অবশ্য অপরিবর্তিত থাকছে তেলের দর। কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে আজও লিটার পিছু পেট্রল ও ডিজেলের দর পড়ছে যথাক্রমে ৮৮.৩০ ও ৮০.৭১ টাকা।
এক দিকে রান্নার গ্যাস ও অন্য দিকে তেলের ঊর্ধ্বমুখী দর আমজনতার ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। উভয় জ্বালানির দর নিয়মিত সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে চলেছে। সে নিয়ে উদ্বেগের বার্তা শুক্রবার ঋণনীতিতে দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও। তবে বিশ্ব বাজারে যেমন অশোধিত তেলের দরের কথা তারা বলেছে, তেমনই কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির পরোক্ষ করের বোঝার কথাও তুলেছে আরবিআই। তাদের আশঙ্কা, জোগান বাড়ায় দামের ক্ষেত্রে যে কিছুটা সুরাহা মিলেছিল, জ্বালানির খরচ তাকে ফের না আবার টেনে তোলে। তাই কেন্দ্র-রাজ্যগুলিকে একযোগে পদক্ষেপ করার পরামর্শ।
বিরোধীরা বারবার তেলের উপর শুল্ক কমিয়ে দাম কমানোর রাস্তা তৈরির দাবি তুলেছেন। কিন্তু বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অতিরিক্ত উৎপাদন শুল্ক কমালেও, নতুন করে কৃষি-পরিকাঠামো উন্নয়ন সেস বসিয়েছেন। ফলে দাম কমার রাস্তায় দাঁড়ি পড়েছে। উল্টে বাজেট পেশের পর থেকেই ফের তা টানা বাড়তে দেখা গিয়েছে। যদিও অর্থমন্ত্রীর দাবি ছিল, দাম একই থাকবে। ফলে ফের প্রশ্ন উঠেছে, কেন শুল্ক কমাচ্ছে না কেন্দ্র?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy