—ফাইল চিত্র।
বড় কর্পোরেট সংস্থা চাইলে ব্যাঙ্ক খুলুক। এমন বার্তাই স্পষ্ট হল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিশেষ কমিটির সুপারিশে। যা শুনে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বাস্তবায়িত হলে দেশে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বাড়াতে সাহায্য করবে এই পদক্ষেপ। বিশেষত কমিটি যেহেতু বেসরকারি ব্যাঙ্কে প্রোমোটারের শেয়ার বাড়িয়ে ২৬% করার কথা বলেছে।
তবে ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি ভাস্কর সেনের হুঁশিয়ারি, ওই সব সংস্থা ও ব্যাঙ্কের মধ্যে স্বার্থের সংঘাত যাতে না-হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। না-হলে বেআইনি সুবিধা পাবে একাংশ, আর ধাক্কা লাগবে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের স্বার্থে। কমিটি ব্যাঙ্ক খুলতে ন্যূনতম মূলধন ১০০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাবও দিয়েছে। বলেছে, প্রোমোটারের শেয়ার কমানোর সময় ১৫ বছর হলে ভাল।
পরিচালনায় দক্ষতা বাড়াতে বেসরকারি ব্যাঙ্কের মালিকানা কাঠামো ঢেলে সাজাতে চায় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এ জন্য জুনে বিশেষ অভ্যন্তরীণ কমিটি তৈরি হয়। শুক্রবার তাদেরই সুপারিশ সামনে আনল আরবিআই। যার ভিত্তিতে ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনের সংশোধন চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন পক্ষকে মত দিতে বলা হয়েছে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে।
সুপারিশ
• বেসরকারি ব্যাঙ্কে প্রোমোটারের অংশীদারির সর্বোচ্চ সীমা ১৫% থেকে বাড়িয়ে ২৬% করা।
• দেশের বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক খোলার অনুমতি।
• যে সব এনবিএফসির মালিক কর্পোরেট সংস্থা ও যাদের ৫০,০০০ কোটি টাকা বা তার বেশি সম্পদ আছে, তাদের ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত হতে সায়। ১০ বছর কাজে অভিজ্ঞতা-সহ আরও কিছু শর্ত আছে।
• নতুন ব্যাঙ্ক স্থাপনের জন্য ন্যূনতম মূলধন ৫০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ কোটি করা। স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ২০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা।
বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষের মতে, ‘‘ব্যাঙ্কে অংশীদারি বাড়ানো গেলে দেশীয় প্রোমোটারেরা পোক্ত হাতে রাশ ধরতে পারবেন।’’ অনেকের আবার দাবি, ন্যূনতম মূলধন বাড়লে ব্যাঙ্কের আর্থিক ভিত মজবুত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy