বাংলায় চুটিয়ে ব্যবসা করছে রিলায়্যান্স জিয়ো। শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর এই সংস্থাকে টেক্কা দেওয়ার মতো জায়গায় নেই অন্য কোনও কোম্পানি। সম্প্রতি ‘টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ বা ট্রাইয়ের রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে সেই তথ্য। সেখানে দেখা গিয়েছে, রিলায়্যান্স জিয়োর গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সূচক নিম্নমুখী রয়েছে এয়ারটেল ও ভোডাফোন-আইডিয়ার (ভিআই)।
সম্প্রতি, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের টেলিকম পরিষেবার সাবস্ক্রিপশন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে ট্রাই। সরকারি সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলা সার্কেলে রিলায়্যান্স জিয়োর সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩.৪ লক্ষ। অন্য দিকে মাত্র ন’হাজার অতিরিক্ত গ্রাহক পেয়েছে এয়ারটেল। এ ছাড়া ভিআই ও বিএসএনএল সক্রিয় গ্রাহক হারানোয় তাদের সূচক নেতিবাচক জায়গায় চলে গিয়েছে।
টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির ব্যবসার অবস্থা বুঝতে ভিজ়িটর লোকেশন রেজিস্টার বা ভিএলআর সূচকের সাহায্য নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে কত জন গ্রাহক কোন সংস্থার পরিষেবা বাস্তবে ব্যবহার করছেন, সেই পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। এটি শুধুমাত্র সিম কার্ড বিক্রির উপর নির্ভরশীল নয়। বরং টেলিকম পরিষেবায় গ্রাহকদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে ভিএলআরের সূচক ওঠানামা করে। ফলে এর মাধ্যমে কার পরিষেবা সবচেয়ে জনপ্রিয়, তা অতি সহজেই বোঝা যায়।
এই ভিএলআর সূচকের নিরিখেও অন্যান্য সংস্থার থেকে এগিয়ে রয়েছে রিলায়্যান্স জিয়ো। গত এপ্রিলে বাংলা সার্কেলে অম্বানীর সংস্থাটির মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধি পায় ০.৪ শতাংশ। বিএসএনএল আগের অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও এয়ারটেল ও ভিআইয়ের মার্কেট শেয়ার হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া এপ্রিলে জিয়ো নেটওয়ার্ক বাংলায় নতুন গ্রাহক পেয়েছে ১.৭৯ লাখ। সেখানে এয়ারটেলের পরিষেবা নিয়েছেন ৫,৬০০ জন। এই দিক থেকে অম্বানীর টেলিকম সংস্থাটির মার্কেট শেয়ার ০.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত এপ্রিলে জাতীয় ভাবে টেলিকম ক্ষেত্রে গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ লক্ষ। ফেব্রুয়ারি ও মার্চের তুলনায় যা বেশ কিছুটা কম। সারা দেশে একমাত্র সংস্থা হিসাবে ৫৫ লক্ষ সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্যা বাড়াতে পেরেছে রিলায়্যান্স জিয়ো। অন্যদিকে এয়ারটেল ৪১ লক্ষ, ভিআই ১১ লক্ষ এবং বিএসএনএল ১৮ লক্ষ সক্রিয় গ্রাহক হারিয়েছে বলে রিপোর্টে জানিয়েছে ট্রাই।