দেশে যত নেট নির্ভর লেনদেন বাড়ছে, তত পাল্লা দিয়ে মাথা তুলছে জালিয়াতি। বৃহস্পতিবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্টে দেখা গেল, গত অর্থবর্ষে ভারতে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত অর্থের পরিমাণ তিন গুণ বেড়েছে। রিপোর্ট অবশ্য বলছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ১২২টি জালিয়াতির পুনর্বিন্যাস করার ফলেই টাকার অঙ্ক এতটা বেড়েছে। ২০২৩-২৪ সালে এতে জড়িত ছিল ১২,২৩০ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) এক লাফে তা পৌঁছেছে ৩৬,০১৪ কোটিতে। শুধু ওই ১২২টি ঘটনার সঙ্গেই যুক্ত ১৮,৬৭৪ কোটি টাকা। শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সংখ্যার বিচারে কার্ড ও নেট লেনদেনের ক্ষেত্রে জালিয়াতির সংখ্যা বেশি। তবে টাকার দিয়ে সব থেকে বেশি ঋণ প্রতারণা। যার অধিকাংশ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে।
ডিজিটাল লেনদেন নিয়ে এর আগে বহুবার সতর্ক করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। রিপোর্টেও দাবি, গত অর্থবর্ষে ১ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া ২৩,৯৫৩টি জালিয়াতির প্রায় ৫৬.৫% (১৩,৫১৬) হল কার্ড ও নেট সংক্রান্ত। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে এই ঘটনা বেশি দেখা গিয়েছে (মোট জালিয়াতির প্রায় ৬০%)। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বেশি হয়েছে ঋণ জালিয়াতি। মার্চের হিসাবে ৭১ শতাংশের বেশি। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কিং শিল্পে ঋণ প্রতারণার ভাগ প্রায় ৩৩%। এর সঙ্গে যুক্ত অর্থ মোট টাকার ৯২ শতাংশেরও বেশি।
ইতিমধ্যেই জালিয়াতি রুখতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে আরবিআই। ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভুয়ো সাইট থেকে মানুষকে বাঁচাতে তাদের নির্দিষ্ট নাম ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে সাইবার হানা চিহ্নিত করা ও ফিশিং-এর মতো জালিয়াতির প্রক্রিয়া থেকে বাঁচাতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)