৫০০ বর্গ মিটারের (৭.৪৭৫ কাঠা) চেয়ে বড় জমি বা আটটি ফ্ল্যাটের (অ্যাপার্টমেন্ট) চেয়ে বড় আবাসনের ক্ষেত্রে রেরা কার্যকর হয়। প্রতীকী ছবি।
বছর পাঁচেক আগে কেন্দ্র আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন (রেরা) চালু করলেও, রাজ্য পৃথক আইন (হিরা) প্রণয়ন করে। পরে সুপ্রিম কোর্ট হিরাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়ায় সেটি বাতিল হয়। কিন্তু তার আগে হিরাতে বহু ক্রেতার অভিযোগ এবং নির্মাতা-বিক্রেতা (প্রোমোটার-ডেভেলপার), সম্পত্তি কেনাবেচার এজেন্টদের নথিভুক্তির আর্জির নিষ্পত্তি হয়নি। এই প্রেক্ষিতে রেরা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সেই আবেদনের উপযুক্ত নথি জমা দিলে তা খতিয়ে দেখে সেই সময়ে নেওয়া ফি ফেরত দেওয়া হবে। নতুন করে আবেদনও জানানো যাবে রেরায়। প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালতের রায়ের পরে রেরা চালুর বিধি প্রণয়ন করে রাজ্য।
রেরার চেয়ারম্যান সন্দীপন মুখোপাধ্যায় জানান, হিরায় যাঁদের আর্জি বা মামলা অসমাপ্ত ছিল, তাঁরা রেরায় আবেদন জানাতে পারবেন। সেই সঙ্গে হিরায় আর্জির নথি দেখিয়ে ফেরত চাওয়া যাবে ফি। রেরার দফতরে বা নেটে আর্জি জানানো যাবে। শর্ত মেনে দিতে হবে ব্যাঙ্কের তথ্য।
একই ভাবে রেরার আওতায় পড়ে এমন আবাসন প্রকল্পের নির্মাতা-বিক্রেতা এবং এজেন্টরাও নথিভুক্তির জন্য হিরায় আবেদন জানাতেন। ক্রেতা নিয়ম মতো টাকা না দিলে, রেরার মতো তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সুযোগ ছিল হিরাতেও। রেরার চেয়ারম্যান জানান, এই ধরনের আবেদন বকেয়া থাকলে তার ফি-এর টাকাও ফেরত দেওয়া হবে। রেরায় নতুন করে নথিভুক্তি বা অভিযোগ জানানোরও সুযোগ মিলবে।
৫০০ বর্গ মিটারের (৭.৪৭৫ কাঠা) চেয়ে বড় জমি বা আটটি ফ্ল্যাটের (অ্যাপার্টমেন্ট) চেয়ে বড় আবাসনের ক্ষেত্রে রেরা কার্যকর হয়। সন্দীপনবাবু জানান, হিরা বাতিলের পর থেকে যাঁরা এমন প্রকল্প গড়েছেন, তাঁরা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নিখরচায় রেরায় নথিভুক্তির সুযোগ পাবেন। তার পরে তা করাতে হবে জরিমানা দিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy