গত কয়েক মাসে তিন দফায় ১০০ বেসিস পয়েন্ট সুদ (রেপো রেট, যে সুদে আরবিআই ধার দেয় ব্যাঙ্কগুলিকে) কমিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তাতে ঋণের সুদ যেমন কমেছে, তেমনই মাথা নামিয়েছে ব্যাঙ্কে জমা টাকার উপরে গ্রাহকের আয় হওয়া সুদও। তাতে চাপে পড়েছেন বিশেষত অবসরপ্রাপ্ত মানুষেরা। সুদ নির্ভর ওই সমস্ত প্রবীণ মানুষের আর্থিক সঙ্কটে পড়া নিয়েই এ বার কেন্দ্রের উদ্দেশে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। তাদের দাবি, ব্যাঙ্কের জমায় সুদের হার এখন ২৫ বছরের মধ্যে সব থেকে কম। গতিশীল একটি অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য বিগত ১১ বছরে মোদী সরকারের কোনও সুযোগ হাতছাড়া না করাই যার কারণ।
মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে কেন্দ্রকে ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করে থাকে বিরোধীরা। এ বার তাদের অস্ত্র আমানতের নিম্নমুখী সুদ। মঙ্গলবার এক্স-এ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। সেখানে দাবি করা হয়েছে, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট ছাঁটাইয়ের পরে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির সেভিংসের সুদ নেমে এসেছে ২৫ বছরের তলানিতে।
প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে রমেশ লিখেছেন, ‘‘দ্রুত এগোতে থাকা একটি অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য গত ১১ বছরে কোনও সুযোগ হাতছাড়া করেনি মোদী সরকার। নোটবন্দি থেকে শুরু করে প্রত্যেক বছর সাধারণ মানুষের উপরে কোনও না কোনও গবেষণা চলছে। তাঁদের উপরে অত্যাচার চলেছে নিত্যনতুন উপায়ে।... ব্যাঙ্কের দরজা এমনিতেই সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পর তা শুধু খোলা থাকবে পুঁজিপতি বন্ধুদের জন্য।’’ রমেশের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সাধারণ দেশবাসীর ভালমন্দের দেখাশোনা করা। কিন্তু তাঁদের সম্পদ কী ভাবে শেয়ার বাজার ঘুরে পুঁজিপতি বন্ধুদের সংস্থায় পৌঁছয়, তা নিশ্চত করার কাজেই তিনি ব্যস্ত।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)