E-Paper

খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ছ’বছরে সর্বনিম্ন, তবু থেকে গেল বহু প্রশ্ন

পরিসংখ্যান বেরোতেই উঠেছে প্রশ্ন, সরকারি হিসাবের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে বাজারহাটে দামের ছবিটা মিলছে না কেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫ ০৮:৩৯
চরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নামল ২.৮২ শতাংশে।

চরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নামল ২.৮২ শতাংশে। —প্রতীকী চিত্র।

সরকারের খাতায়-কলমে গত মাসে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নামল ২.৮২ শতাংশে। যা ছ’বছরে সর্বনিম্ন। বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের হিসাব অনুযায়ী, এই হার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার (৪%) এতটা নীচে নেমেছে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মে মাসে ০.৯৯% হওয়ায়। আগের বছর ছিল ৮.৬৯%। যা সার্বিক হারকে ৪.৮ শতাংশে তুলেছিল।

যদিও পরিসংখ্যান বেরোতেই উঠেছে প্রশ্ন, সরকারি হিসাবের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে বাজারহাটে দামের ছবিটা মিলছে না কেন? ক্রেতাদের একাংশের দাবি, কলকাতার অনেক জায়গায় টোম্যাটোর কেজি ফের ৮০ টাকায় উঠেছে, উচ্ছের ৮০-১০০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা। বেগুনের কেজি এখনও ৮০-১০০ টাকা। ১৫০ টাকা এক কেজি গোবিন্দভোগ চালের দাম। গত মাসেও যা ৯০ টাকা ছিল। আমূল দুধের আধ লিটারের প্যাকেট বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। এক ট্রে ডিম ১৮০ টাকা।

অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের সবটা সরকারি তথ্যে ধরা পড়ে না। ফলে হিসাবে ফারাক থাকে। পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলেন, ‘‘খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নজিরবিহীন ভাবে কমেছে। অথচ আমজনতা বাজার করতে গেলে এখনও চাপে পড়ছেন। আরবিআইয়ের ক্রেতা আস্থা সমীক্ষায় স্পষ্ট, সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সরকারের হিসাব সত্যিই তেমন মিলছে না। এটাই আশঙ্কার।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Economy Retail Market

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy