রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্য কিছুটা শিথিল করেও সরকারের খরচ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। যাতে ঘুরে দাঁড়ানোর জ্বালানি পায় অর্থনীতি। শেষমেশ বাজেটে হয়েছে সেটাই। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন চলতি অর্থবর্ষে ওই ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ৩.৩% থেকে বাড়িয়ে বেঁধেছেন ৩.৮ শতাংশে। কিন্তু সেই লক্ষ্যও পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ পেল এসবিআই রিসার্চের রিপোর্টে। দাবি, সংশোধিত ৩.৮ শতাংশের লক্ষ্যও আদতে উচ্চাশা। কারণ হিসেবে, এখনও পর্যন্ত প্রত্যাশার তুলনায় কম কর আদায় এবং লক্ষ্যের থেকে দূরে রয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ খাতে আয়ের যুক্তিকে তুলে ধরেছে তারা।
রিপোর্ট বলেছে, ‘‘সরকার আয়কর আদায় ১৮% বাড়বে বলেছে। কিন্তু আমাদের মনে হয় একটু বেশি আশা করা হচ্ছে।’’ আগামী দু’মাসে কেন্দ্রের বিলগ্নিকরণ থেকে আয়ের লক্ষ্য পূরণ নিয়েও সংশয়ী তারা।
কেন্দ্রের আশা
• চলতি অর্থবর্ষে আয়কর আদায় বাড়বে ১৮%।
• ফেব্রুয়ারি, মার্চে বিলগ্নিকরণ থেকে রাজকোষে ঢুকবে প্রায় ৬৫,০০০ কোটি টাকা।
অথচ
• ডিসেম্বর পর্যন্ত ন’মাসের হিসেবে কর আদায় বেড়েছে মাত্র ৫.১%।
• লক্ষ্য ছিল, বিলগ্নি থেকে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের। এখন পর্যন্ত হয়েছে ১৭,৮০০ কোটি।
• লক্ষ্য ছিল, পরোক্ষ কর থেকে ১১.১৯ লক্ষ কোটি সংগ্রহের। নভেম্বর পর্যন্ত হয়েছে ৬.১২ লক্ষ কোটি। চার মাসে হতে হবে আরও প্রায় অতটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy