চার মাস কেটে গিয়েছে জেলে বন্দী তিনি। দ্রুত জামিনের টাকা জোগাড় করা না-গেলে সেখানে থাকার মেয়াদ আরও বাড়বে। সে জন্যই শুক্রবার অন্তর্বর্তী জামিন পেতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ‘রহম’ অর্থাৎ দয়া ভিক্ষা করলেন সহারা কর্তা সুব্রত রায়। টি এস ঠাকুরের বেঞ্চের সামনে করা সেই আবেদনে সহারার আইনজীবী জানালেন, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সম্পত্তি বিক্রি করে ১০ হাজার কোটি টাকার জামিন জমা দিতে সুব্রতবাবুকে জেল থেকে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া জরুরি। যাতে সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। শীর্ষ আদালত অবশ্য আবেদনের উপর রায়দান স্থগিত রেখেছে।
টাকার ব্যবস্থা করতে লন্ডনের গ্রসভেনর হাউস, নিউ ইয়র্কের দ্য প্লাজা এবং ড্রিম ডাউনটাউন হোটেল তিনটি বেচতে বৃহস্পতিবারও সুপ্রিম কোর্টে অন্তত ৪০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিলেন সহারা কর্তা। যা মঞ্জুর করেনি শীর্ষ আদালত।
এ দিন সহারার তরফে অবশ্য আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, শীর্ষ আদালত বিদেশের সম্পত্তি বিক্রির যে অনুমতি দিয়েছে, তা অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তারা জানিয়েছে, ভারতের মতো দেশে ১০ হাজার কোটির মতো এত বড় তহবিল জোগাড় করা মুশকিল। সেই কারণেই বিদেশের সম্পত্তি বিক্রির কথা ভাবতে হচ্ছে। পাশাপাশি সংস্থাটির দাবি, এই মামলায় তারা টাকা ফেরালে লগ্নিকারীরা তা দু’বার পাবে বলে যে দাবি সহারা বহু দিন ধরে করে আসছে, এ দিন তা বিবেচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতেই যথার্থ লগ্নিকারীদের চিহ্নিত করতে গত ২২ মাসে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা সেবির কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। গত ৬ মে-র মধ্যে যা সম্পূর্ণ করার কথা থাকলেও করতে পারেনি সেবি।
সহারার ৭,০০০ কোটি টাকা বকেয়া কর নিয়ে এ দিন কর দফতরকে হলফ-নামা জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। বকেয়া করের বিস্তারিত হিসাব, এ জন্য ইতিমধ্যেই কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ও ভবিষ্যতে কী নেওয়া হবে, এই সব কিছু জানাতে হবে সেখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy