—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সাধারণ যাত্রিবাহী গাড়ির পরে গত মাসে কমল বৈদ্যুতিক (ইভি) চার চাকার বিক্রি। তবে বিক্রি বিপুল বেড়েছে দু’চাকার। শুক্রবার গাড়ি বিক্রেতাদের (ডিলার) সংগঠন ফাডার তথ্য বলছে, গত বছর অগস্টে দেশে ৭০৪০টি বৈদ্যুতিক গাড়ি নথিভুক্ত হয়েছিল। এ বার ১০% কমে হয়েছে ৬৩৩৮। দু’চাকার ক্ষেত্রে ৩৭৪৯টি থেকে একলাফে বেড়ে হয়েছে ৬৯০৬টি। বৃদ্ধির হার প্রায় ৪১%। তিন চাকা এবং বাণিজ্যিকের বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৬.৮৩% ও ২৮%।
ফাডার মতে, ভারতে এখনও বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম তুলনায় বেশি। তা শুরু হয় ১২-১৩ লক্ষ টাকা থেকে। তা সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে। তারই প্রভাব পড়েছে বিক্রিতে। অন্য দিকে, বাজাজ অটো, হিরো মোটকর্প, টিভিএস, ইথার, ওলার মতো সংস্থাগুলি আরও বেশি করে এই ব্যাটারিচালিত দু’চাকার গাড়ি নিয়ে আসছে। যার দাম শুরু হয় মোটের উপরে ১.২৫ লক্ষ টাকা থেকে। ফলে হুহু করে বাড়ছে সেগুলির বিক্রি।
যদিও সম্প্রতি সড় পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী দাবি করেছেন, ‘‘দেশে ইভি-র বিক্রি বাড়ছে। ফলে এখন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সরকারি ভর্তুকির প্রয়োজন নেই।’’ তাঁর যুক্তি, বৈদ্যুতিক যাত্রী গাড়ি তৈরির খরচ বেশি। কিন্তু বেশি সংখ্যায় তৈরি করলে গড়ে খরচ কমে। তবে এই মন্তব্য নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ইভি বিক্রি এখনও সেই পর্যায় পৌঁছয়নি, যে ভর্তুকি লাগবে না। ফলে মন্ত্রীর যুক্তি খাটে না। তার উপরে ফাডা-র তথ্যে তাতে দেখা যাচ্ছে সেই বিরোধী মতই ঠিক। কারণ, ইভি কেনার প্রবণতা
গডকড়ীর মতের উল্টো পথে হাঁটছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy