প্রতীকী ছবি।
গত এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১৩.৫%। যা বিভিন্ন মূল্যায়ন এবং আর্থিক সংস্থার প্রত্যাশার তুলনায় কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সময়ে উৎপাদন ক্ষেত্রের বৃদ্ধির হার (৪.৮%) কম থাকাই এর মূল কারণ। এই অবস্থায় সারা বছরের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করল দুই সংস্থা।
বৃহস্পতিবার স্টেট ব্যাঙ্কের আর্থিক গবেষণা শাখা জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৬.৮%। তাদের অনুমান, জুলাই থেকে আগামী তিনটি ত্রৈমাসিকে ওই হার দাঁড়াতে পারে যথাক্রমে ৬.৯%, ৪.১% এবং ৪%। এর আগে গোটা অর্থবর্ষে ৭.৫% বৃদ্ধির কথা বলেছিল তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির মুখ্য অর্থনীতিবিদ সৌম্যকান্তি ঘোষের বক্তব্য, শিল্পোৎপাদন এবং খুচরো মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রয়োজনীয় অনেক তথ্যই দিতে পারছে না। শেষ বার এর সংশোধন হয়েছিল ২০১২ সালে। ফের বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তাকরা দরকার।
অন্য দিকে, মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ় ইনভেস্টর্স সার্ভিসেস ২০২২ সালে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ১১০ বেসিস পয়েন্ট ছাঁটাই করেছে। তারা জানিয়েছে, ওই হার হতে পারে ৭.৭% হারে। পরের বছর তা আরও কমে ৫.২% হতে পারে। অথচ, মে মাসের রিপোর্টে এ বছর ৮.৮% বৃদ্ধির কথা বলেছিল তারা। সংস্থাটির বক্তব্য, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ বৃদ্ধি, অনিয়মিত বর্ষা ও সারা বিশ্বে অর্থনীতির গতি কমার ফলে বৃদ্ধির হার আগের প্রত্যাশার তুলনায় কম হবে। ২০২১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৩%। তার আগের বছর করোনার প্রভাবে অর্থনীতি ৬.৭% সঙ্কুচিত হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy