Advertisement
E-Paper

উঠল বড় ডিজেল গাড়ির নিষেধাজ্ঞা

আট মাস পরে অবশেষে স্বস্তি। দিল্লি ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন বা এনসিআর) ২০০০ সিসি বা তার বেশি ক্ষমতার ডিজেল ইঞ্জিনের নতুন গাড়ি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে তা বেচতে গাড়ির শো-রুমের দামের উপর ১% হারে ‘গ্রিন সেস’ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দিতে হবে সংস্থাগুলিকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৬ ০২:৫২

আট মাস পরে অবশেষে স্বস্তি। দিল্লি ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন বা এনসিআর) ২০০০ সিসি বা তার বেশি ক্ষমতার ডিজেল ইঞ্জিনের নতুন গাড়ি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে তা বেচতে গাড়ির শো-রুমের দামের উপর ১% হারে ‘গ্রিন সেস’ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দিতে হবে সংস্থাগুলিকে।

নিষেধাজ্ঞা ওঠায় শুক্রবার কিছুটা স্বস্তির হাওয়া গাড়ি শিল্পে। এই নিষেধাজ্ঞায় বিশেষত সমস্যায় পড়েছিল টয়োটা কির্লোস্কর মোটর, মার্সিডিজ-বেঞ্জ, মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রার মতো সংস্থাগুলি। কারণ, তাদের এ ধরনের গাড়ির সংখ্যা বেশি। তবে দূষণের অভিযোগ নিয়ে সার্বিক ভাবেই প্রশ্ন রয়েছে গাড়ি সংস্থাগুলির। তাই তাদের দাবি, দীর্ঘ মেয়াদে এই সমস্যা খতিয়ে দেখা হোক। বিষয়টি স্বচ্ছ না হওয়া পর্যন্ত লগ্নির বিষয়ে কাঁটা থেকেই যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত টয়োটার মতো সংস্থার।

গত ১৬ ডিসেম্বর বড় ডিজেল গাড়ির নথিভুক্তির (অর্থাৎ বিক্রি) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু মার্সিডিজ-বেঞ্জ, টয়োটা ও গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়ামের পরিবেশ রক্ষার ‘চার্জ’ হিসেবে ১% সেস দেওয়ার হলফনামা দেখে এ দিন তা প্রত্যাহার করে নেয় শীর্ষ আদালত। যদিও আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর সেস দেওয়া নিয়ে সন্তুষ্ট হলে তবেই সেখানে গাড়ি নথিভুক্ত করা যাবে।

দেশের মোট গাড়ি বিক্রির ১০% আসে দিল্লি ও এনসিআর থেকে। পাশাপাশি, সার্বিক ভাবে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও সব ধরনের ডিজেল গাড়ি নিয়েই ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছিল। এ দিনের রায়কে তাই স্বাগত জানিয়েছে সব সংস্থাই।

মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রার ইডি পবন গোয়ে‌ন্কা বলেন, ‘‘আশা করি, এই রায় বিতর্কের অবসান ঘটাবে। ২০২০ সালের মধ্যে বিএস-৬ দূষণ বিধি মেনে চলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারব।’’ টয়োটার ভাইস চেয়ারম্যান শেখর বিশ্বনাথন বলেন, ‘‘এ বার ওই এলাকায় গাড়ি বেচতে পারব।’’ হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়ার সিনিয়র ভিপি রাকেশ শ্রীবাস্তবের কথায়, ‘‘ইতিবাচক পদক্ষেপ।’’ সিয়ামের কর্তা সুগত সেনের আশা, এতে বাজারে নেতিবাচক মনোভাব দূর হবে।

তবে একই সঙ্গে মার্সিডিজ-বেঞ্জ, টয়োটার মতো সংস্থাগুলি এ দিন স্পষ্ট জানিয়েছে যে, তারা স্বেচ্ছায় সেস দেওয়ার কথা বলেছে। এমন নয় যে, তা দিতে হচ্ছে তাদের গাড়ির অনিয়মের জন্য। সংস্থাগুলির দাবি, তারা এ দেশের নিয়ম মেনেই গাড়ি তৈরি করে। তা সত্ত্বেও রফাসূত্রের খোঁজে খানিকটা বাধ্য হয়েই সেস দিতে হচ্ছে বলে তাদের ইঙ্গিত।

এখনও তাদের দাবি, গাড়ি থেকে দূষণ নামমাত্র হয়। বরং অন্য যে সব কারণে বেশি দূষণ হয়, সেগুলি নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্চ্য করেন না। তাই সার্বিক ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে তারা। তা না হলে শীতে ফের দূষণ বাড়ার সময়ে এ নিয়ে নতুন করে সমস্যা মাথাচাড়া দেবে বলে তাদের আশঙ্কা। এ দিন বিশ্বনাথন বলেন, ‘‘ডিজেল নিয়ে আদালত ও সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট বার্তা না-পাওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।’’

Diesel car Supreme court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy