—ফাইল চিত্র
করোনার জেরে থমকে যাওয়া ব্যবসার চাকা ধনতেরসকে কেন্দ্র করে গড়াতে শুরু করল বটে, তবে গতি পেল না আগের মতো।
এ বছর ধনতেরস দু’দিন। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার। তার প্রথম দিনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে গয়না ব্যবসায়ীদের একাংশের মধ্যে। তাঁদের দাবি, এ দিন ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ২০%। আজ, শুক্রবারও কিছুটা বাড়ার আশা করছেন তাঁরা। তবে একই সঙ্গে গয়না শিল্পের বক্তব্য, উদ্বেগ কাটার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি। কারণ, অতিমারিজনিত কড়াকড়ি শিথিল হওয়ায় বিক্রিবাটা শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা হচ্ছে লকডাউনের সময়ে জমে থাকা গয়না থেকে। কারিগরদের নতুন বরাত এখনও কম। ঠিক যে উদ্বেগের কথা শোনা যাচ্ছে গাড়ি শিল্পের মুখেও। তাদের বিক্রিও সম্প্রতি বেড়েছে পুরনো মজুত থেকে। কিন্তু অন্যান্য বছরের ধারেপাশে পৌঁছয়নি। পাশাপাশি বড় গয়নার দোকানগুলি কিছুটা বিক্রির মুখ দেখলেও ছোট দোকানের অবস্থা এখনও তেমন ভাল নয়।
গয়না শিল্পের বক্তব্য, দুর্গাপুজোর পর থেকে গত দু’সপ্তাহে কেনাকাটা কিছুটা বেড়েছে। খানিকটা চাহিদা এসেছে মফস্সলের দোকানগুলিতেও। তবে বনগাঁর ব্যবসায়ী বিনয় সিংহের বক্তব্য, ‘‘ধনতেরসের প্রথম দিনে আমার দোকানে ৩০% বেশি বিক্রি হলেও, তা গতবারের চেয়ে ২৫% কম।’’ স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে এবং অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাছরাজ বামালুয়া জানান, এক বছর আগের তুলনায় অনেকটা বেশি হলেও তিন মাস আগের তুলনায় পাকা সোনার দাম এখন কিছুটা কম। সেই সুযোগে অনেকে বিয়ের কেনাকাটা সেরে রাখছেন। আবার সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের সিইও শুভঙ্কর সেন এবং অঞ্জলি জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অনর্ঘ উত্তীয় চৌধুরী বলেন, এত দিন পরিবহণের অভাবে ক্রেতারা দোকানে আসতে পারছিলেন না। এখন সেই বাধা অনেকটাই কেটেছে।
তবে এরই পাশাপাশি গয়না শিল্প সূত্রের খবর, বড় ও মাঝারি গয়নার দোকানে বিক্রি বাড়লেও শহর ও জেলার অনেক ছোট দোকানে ধনতেরসও বিক্রি তেমন বাড়াতে পারেনি। বেলঘরিয়ার এক ছোট দোকানের মালিক কৌশিক পোদ্দার বলেন, ‘‘আমাদের ক্রেতাদের মধ্যে কম আয়ের মানুষের সংখ্যা বেশি। তাঁদের কেনাকাটার মতো অবস্থা এখনও তৈরি হয়নি।’’ বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার আবার জানাচ্ছেন, গয়নার বিক্রি কিছুটা বাড়লেও কারিগরদের হাতে নতুন বরাত এসেছে সামান্যই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy