সপ্তাহের শুরুটা ভাল হল না শেয়ার বাজারের। সোমবার প্রথম লেনদেনের দিনেই সূচকের পতন হল। এ দিন সেনসেক্স পড়েছে ১৬৯.৬৫ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে তা থিতু হয় ২৫,৪৩৬.৯৭ অঙ্কে। একই ভাবে পড়েছে নিফ্টিও। ৪৩.৯০ পয়েন্ট পড়ে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক থামে ৭,৮০৫.৯০ অঙ্কে।
শেয়ারের পাশাপাশি পড়েছে টাকার দরও। এ দিন এক ধাক্কায় টাকা পড়েছে ১১ পয়সা। বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৬.৪৪ টাকা। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি শেয়ার বেচে ডলারে পরিণত করে নিয়ে যাওয়ার ফলেই ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। যার ফলে বাড়ে তার দামও।
হালে শেয়ার বাজারের যে পতন হয়েছে, তার জন্য বিদেশের কারণ এবং বিভিন্ন সংস্থার খারাপ আর্থিক ফলই দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রথমত, বিশ্ব বাজারের আশা ছিল জাপানের শীর্ষ ব্যাঙ্ক দেশের আর্থিক অবস্থার মোড় ঘোরাতে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করবে। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাঙ্ক অব জাপানের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে সেই মর্মে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এটাই হতাশ করেছে লগ্নিকারীদের। এর ফলে বিভিন্ন জাপানি সংস্থার শেয়ার দর অনেকটাই পড়ে গিয়েছে, যার জেরে জাপানের শেয়ার সূচক নিক্কেইয়ের পতন হয়েছে ৩.১১%। জাপানের শেয়ার বাজারের পতনের বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভারত-সহ নানা দেশে।
দ্বিতীয়ত, শেয়ার বাজারের পতনের কারণ গত আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে বিভিন্ন সংস্থার হতাশাজনক আর্থিক ফলাফল। তবে এ দিন কিন্তু সার্বিক ভাবে শেয়ার বাজার পড়েনি। প্রধানত পড়েছে সূচকর অন্তর্গত সংস্থার শেয়ার দরই। আর উল্টো দিকে বেড়েছে ছোট ও মাঝারি সংস্থার শেয়ার দর। এ দিন মাঝারি সংস্থা (মিড ক্যাপ)-র শেয়ার সূচক বেড়েছে ১.১০% এবং ছোট সংস্থা (স্মল ক্যাপ)-র সূচকের উত্থান হয়েছে ০.৩৯%।
তবে সোমবার কিন্তু ইউরোপের শেয়ার সূচকের মুখ ছিল উপরের দিকে। গত কয়েক দিন শেয়ার দর টানা পড়তে থাকার পরে এ দিন পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার হিড়িক লক্ষ করা যায় ইউরোপের লগ্নিকারীদের মধ্যে, যা তাদের সূচকের পারাকে উপরের দিকে ঠেলে তুলতে সহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy