গত কাল বেনজির ধসের পরে মঙ্গলবার কিছুটা উঠল শেয়ার বাজার। ২৯০.৮২ পয়েন্ট উত্থানের দৌলতে সেনসেক্স ফের পৌঁছল ২৬ হাজারের ঘরে। টাকার দাম বাড়ায় আবার ৬৬ টাকার নীচে নেমে এল ডলারের দরও।
সূচক প্রায় ২৯১ পয়েন্ট উঠলেও, একে বাজারের ঘুরে দাঁড়ানো হিসেবে দেখতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। বরং তাঁরা মনে করছেন, চিনের সমস্যা না-মেটা এবং মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের সুদ বাড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তা না-কাটা পর্যন্ত বাজারে অস্থিরতা থাকবেই। রোজ রোজ হাজার-দেড় হাজার অঙ্কের ধস হয়তো হবে না। কিন্তু, লেগেই থাকবে বড় মাপের উত্থান-পতন।
চিনা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এ দিনই সুদ কমানোর কথা ঘোষণা করেছে সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। মোদী সরকার জানিয়েছে, সংসদে আটকে থাকা পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করতে বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কথা বলছে তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত এই দুই ঘটনাই এ দিন ঠেলে তুলেছে ভারতের শেয়ার বাজারকে। উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে নিচু বাজারে সস্তায় ভাল শেয়ারের খোঁজও।
শুধু ভারত নয়, চিনা শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুদ ছাঁটাই কম-বেশি খুশি করেছে এশিয়া এবং ইউরোপের অধিকাংশ বাজারকে। তাই সেখানে অধিকাংশ সূচকই ছিল ঊর্ধ্বগামী। কিন্তু, সুদ ছাঁটাইয়ের প্রভাব চোখে পড়েনি খাস চিনা মুলুকেই। সোমবারের ধসের পরে মঙ্গলবারও শেয়ার বাজার পড়েছে সেখানে।
মঙ্গলবার ভারতে বাজার উঠলেও তা যে কতখানি অস্থির, সেই বিষয়টি স্পষ্ট এ দিন সেনসেক্সের লাগাতার ওঠা-পড়ায়। দিনের শুরুতে ৩৮০ পয়েন্ট ওঠার পরেও মাঝে এক সময় প্রায় ৪৫০ অঙ্ক নেমে গিয়েছিল সেনসেক্স। সেখান থেকে ফের কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে দিনের শেষে তা দৌড় শেষ করেছে ২৬,০৩২.৩৮ অঙ্কে। সোমবার বাজার বন্ধের সময়ের তুলনায় প্রায় ২৯১ পয়েন্ট বেশি। চিনে সুদ হ্রাসের প্রভাব এ দিন খোলার পরে মার্কিন বাজারে কতখানি পড়ে, সে দিকেই এখন নজর সকলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy