বক্তব্যের পরে বিশ্ব জুড়ে শেয়ার বাজারে পতনের আশঙ্কা ছিল। হলও তাই। ফাইল ছবি
মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে ফের সুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত গত সপ্তাহেই দিয়েছিলেন আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের কর্তা জেরোম পাওয়েল। বলেছিলেন প্রয়োজনে তা চড়া হারে বেঁধে রাখার কথাও। সেই বক্তব্যের পরে বিশ্ব জুড়ে শেয়ার বাজারে পতনের আশঙ্কা ছিল। হলও তাই। এ দিন ভারতে সকালে ১৪৬০ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স। পরে কিছুটা উঠে তা শেষ হয় ৫৭,৯৭২.৬২ অঙ্কে। শুক্রবারের চেয়ে যা ৮৬১.২৫ পয়েন্ট কম। নিফ্টি ২৪৬ পয়েন্ট নেমে থামে ১৭,৩১২.৯০ অঙ্কে। লগ্নিকারীরা হারালেন ২.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা।
এ দিন এক সময়ে রেকর্ড পতন হয়েছিল টাকারও। ডলার পৌঁছেছিল ৮০.১৫ টাকায়। তবে বাজার বন্ধের আগে ভারতীয় মুদ্রাটি নিজেকে সামলে নেয়। প্রতি ডলারের দাম ৭ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৯.৯১ টাকা।
বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, পাওয়েল শুধু সুদ বাড়ানোর কথাই বলেননি। জানিয়েছেন এর জেরে আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধি আঘাত পেলেও তাঁরা থমকে যাবেন না। এই আশঙ্কাই কাঁপুনি ধরিয়েছে বাজারে। কারণ, এর ফলে শুধু আমেরিকা নয়, মন্দা আসতে পারে ইউরোপেও। যার আঁচ পড়বে সারা বিশ্বে। ভারতের রফতানি মার খাবে। তাতে মূলত সমস্যায় পড়তে পারে তথ্যপ্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্র। যার আভাস দিয়ে এ দিনই বিএসই-তে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার সূচক পড়েছে ৩.৩৪%।
এ দিকে অক্টোবরে ভারতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও ফের সুদ বাড়াতে পারে বলে ধারণা। বাজার মহলের মতে, এতে গাড়ি, আবাসনের মতো শিল্প সমস্যায় পড়বে। এরই মধ্যে আমেরিকায় সুদ বাড়ায় আকর্ষণ বাড়ছে সে দেশের বন্ডের। জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের অন্যতম কর্তা বিনোদ নায়ারের মতে, এতে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারত থেকে পুঁজি তুলে সেখানে ঢালার সম্ভাবনা বাড়ছে। তবে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়ালের মতে, ‘‘বিদেশি হেজ ফান্ডগুলি বাদে বাকিরা কতটা তুলবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তা ছাড়া ভারতের আর্থিক অবস্থা ভাল। ফলে সপ্তাহ দুয়েকেই বাজার ফের চাঙ্গা হতে শুরু করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy