সপ্তাহের শেষ দিনেও অব্যাহত রইল শেয়ার বাজারের পতন। সেনসেক্স ৩১৭.৭৪ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়াল ৩১,২১৩.৫৯ অঙ্কে। নিফ্টি ১০৯.৪৫ পয়েন্ট খুইয়ে ৯,৭১০.৮০-তে। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে টানা পাঁচ দিনে সেনসেক্স মোট পড়ল ১,১১১.৮২ এবং নিফ্টি ৩৫৫.৬০। ফলে লগ্নির বিকল্প ক্ষেত্র হিসাবে ফের মুখ তুলল সোনা। কারণ, অনেকেই এখন সোনা কিনতে ঝুঁকছেন। ফলে কলকাতায় প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাটের দাম এ দিন বেড়েছে ১৬০ টাকা। আর দিল্লির বাজারে ১৩০ টাকা।
এ দিকে, সেবির নির্দেশে বন্ধ হওয়া ৬টি সংস্থার শেয়ার লেনদেন ফের চালু করতে বলেছে আপিল আদালত (এসএটি)। সন্দেহজনক ভুয়ো সংস্থার তকমা দিয়ে ওই ৬টি-সহ ১৬২টি সংস্থার লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল সেবি। এর আগে এই তালিকার আরও দুই সংস্থা, জে কুমার ইনফ্রাপ্রজেক্টস এবং প্রকাশ ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেনও আবার চালুর নির্দেশ দিয়েছিল এসএটি।
যে ৬টি সংস্থার শেয়ার লেনদেন ফের চালুর নির্দেশ দিয়েছে এসএটি, তার মধ্যে রয়েছে পার্শ্বনাথ ডেভেলপার্স, পিঙ্কন স্পিরিট ইত্যাদি। তবে ওই সব সংস্থার শেয়ার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি এসএটি বলেছে যে, সেবি ও শেয়ার বাজার কর্তৃপক্ষ ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করতে পারে।
এ দিন বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সামরিক উত্তেজনার জেরে শুক্রবারও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব বাজার। বিভিন্ন দেশের বেশির ভাগ সূচকই নামে। যার জের পড়ে ভারতেও। তার উপর এ দেশে সূচকের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে আর্থিক সমীক্ষা। যেখানে বলা হয়েছে, এই অর্থবর্ষে বৃদ্ধি ৬.৭৫%-৭.৫% হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হলেও, তা বাস্তবে হওয়া কঠিন।