Advertisement
১৯ মে ২০২৪

মুনাফা তোলার জেরে ফের ২৫ হাজারের নীচে সেনসেক্স

টানা চার দিন ওঠার পরে সোমবার ফের পড়ল শেয়ার বাজার। এর আগে গত বৃহস্পতিবার হোলি এবং শুক্রবার গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে শেয়ার বাজার বন্ধ ছিল। এ দিন সেনসেক্সের পতন হয় ৩৭১.১৬ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক নেমে যায় ২৫ হাজারের নীচে। থিতু হয় ২৪,৯৬৬.৪০ অঙ্কে। গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে এ দিনই সবচেয়ে বেশি পড়েছে সেনসেক্স।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৬ ০২:৩১
Share: Save:

টানা চার দিন ওঠার পরে সোমবার ফের পড়ল শেয়ার বাজার।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার হোলি এবং শুক্রবার গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে শেয়ার বাজার বন্ধ ছিল। এ দিন সেনসেক্সের পতন হয় ৩৭১.১৬ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক নেমে যায় ২৫ হাজারের নীচে। থিতু হয় ২৪,৯৬৬.৪০ অঙ্কে। গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে এ দিনই সবচেয়ে বেশি পড়েছে সেনসেক্স।

বাজারের পতনের প্রভাব অবশ্য পড়েনি টাকায়। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম এ দিন ৭ পয়সা বেড়েছে। ফলে বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৬.৫৭ টাকা। তবে এ দিন অবশ্য এক সময়ে টাকার দাম আগের দিনের থেকে প্রায় ২৬ পয়সা কমে গিয়েছিল। পরের দিকে টাকা তার হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে।

এই দিন মূলত মুনাফার টাকা ঘরে তোলার উদ্দেশ্যে বিক্রির জেরেই সূচক পড়েছে বলে শেয়ার বাজার মহল সূত্রের খবর। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবারই আগাম লেনদেনের সেট্‌লমেন্টের দিন। অনিশ্চিত বাজারে পরের মাসের জন্য শেয়ার হাতে ধরে রাখতে যাঁরা ভরসা পাননি, তাঁদের শেয়ার বিক্রি সূচকের পতনে রসদ জুগিয়েছে।

এ দিন কিন্তু লেনদেন শুরু হওয়ার পরে বাজার দ্রুত বাড়ছিল। তার সঙ্গে তাল রেখে উঠছিল সূচকও। এক সময়ে সেনসেক্স উঠে যায় ২৫,৪৩২.৯৪ অঙ্কে। কিন্তু পরে মুনফার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য লগ্নিকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে যাওয়ার দরুন দ্রুত নেমে আসে সূচকের পারা।

তবে শেয়ার বাজারের পক্ষে ভাল খবর যে, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে বিনিয়োগের বহর দ্রুত বাড়িয়েছে। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ওই সব সংস্থা গত বুধবারই ভারতের বাজারে ৯৭৬.৯১ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।

এ দিন জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা বায়োকনের শেয়ার এক ধাক্কায় বেড়েছে ৫ শতাংশ। জাপান সরকার সে দেশে সংস্থার ‘ইনসুলিন গ্লারগিন’ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার প্রভাবেই শেয়ার দর বেড়েছে বলে সংস্থা জানিয়েছে। অন্য দিকে, ন্যাটকো ফার্মার শেয়ার পড়েছে ১৩ শতাংশ। আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক ভারতে তাদের দু’টি কারখানায় নজরদারি চালানোর জেরেই দর পড়ে যায়। তবে সংস্থার দাবি, গুণমানের কারণে রফতানির উপর প্রভাব পড়বে না।

এ দিকে আগামী সপ্তাহের গোড়ায় ৫ এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতি পর্যালোচনা করবে। শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমায় কি না, এখন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে শেয়ার বাজার মহল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমাতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন ঠিকই। কিন্তু বিষয়টি অনিশ্চিত বলেই শেয়ারে, বিশেষ করে ব্যাঙ্কের শেয়ারে, লগ্নির ব্যাপারে বিনিয়োগকারীরা বুঝেসুঝে পা ফেলতে চাইছেন বলে শেয়ার বাজার সূত্রের খবর। কারণ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমালে সূচকের পারা যেমন উপরের দিকে চড় চড় করে উঠতে পারে, তেমনই তা না-কমালে বাজার পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই এই অবস্থায় লগ্নিকারীদের মধ্যে অনেকেই বিনিয়োগের ব্যাপারে কোনও ঝুঁকি নিতে কুন্ঠা বোধ করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sensex 25,000 points dropped
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE