ছবি: সংগৃহীত।
নোটবন্দি, জিএসটি হয়ে অর্থনীতির ঝিমুনি, তার পরে করোনা— একের পর এক ধাক্কায় পর্যদুস্ত ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প স্বাগত জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তকে। অনেকেই মনে করছে, পথে ধার শোধের সময় বাড়লে মুখ থুবড়ে পড়া অনেকে বেঁচে যেতে পারে। তবে একাংশের দাবি, এই লাভ স্বল্পমেয়াদি। সুবিধাটি নেওয়ার শর্ত থাকায়, যোগ্য হলেও বহু সংস্থা উপকৃত হবে না। বরং সুদ কমালে কাজে দিত।
১ জানুয়ারি পর্যন্ত যে সব ছোট-মাঝারি সংস্থার ঋণ শোধের ইতিহাস ভাল, তাদের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে এককালীন ঋণ পুনর্গঠনের সুবিধার কথা আগেই বলেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়েছে, গত ১ মার্চের আগে পর্যন্ত কোনও সংস্থা ধার শোধে ৩০ দিনের বেশি দেরি না-করে থাকলে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাদের ঋণ পুনর্গঠন করতে পারবে ব্যাঙ্কগুলি।
এতে খুশি রাজ্যে ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমি-র প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য। শুক্রবার বলেন, ‘‘অনেক সংস্থাই বিপাকে। এখন ব্যবসায়িক কাজকর্ম শুরু হওয়ায় ঋণ শোধের বাড়তি সময় পেলে কিছুটা উপকৃত হবে তারা।’’ তাঁর সঙ্গে সহমত আর এক সংগঠন ফ্যাকসির প্রেসিডেন্ট হিতাংশু গুহ এবং ইন্ডিয়া প্লাস্টিক ফেডারেশন তথা ফিকির রাজ্যের অন্যতম কর্তা অনিল টিবরেওয়ালও।
তবে হিতাংশুবাবুর মতে, বছর কয়েক ধরেই বেহাল বহু ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থা। তাই ব্যবসায় সুনাম থাকলেও, অনেকেই ১ মার্চের আগের ওই শর্তে আটকে যাবে। ফলে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে না। অনিলের দাবি, প্রকল্পটির লাভ স্বল্পমেয়াদি। কবে করোনার প্রভাব কাটবে ঠিক নেই। তা হলে কীসের ভিত্তিতে পুনর্গঠনের সময় ঠিক হবে? বরং তাঁর আর্জি সুদ কমানোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy