সমীক্ষায় প্রায় ২৭% সংস্থা জানিয়েছে, তারা ঠিক সময়ে ঋণ শোধ করতে পারছে না। ৫৩% জানিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে তারা করোনার আগের তুলনায় ভাল করছে। প্রতীকী ছবি।
ক্রেতার পকেটে টান পড়ায় পণ্যের চাহিদায় জোর ধাক্কা লেগেছে। সেই সঙ্গে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে পরিবহণ খরচ বেড়েছে। এর জেরে কাঁচামালের মাথা তুলতে থাকা দর গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভোগাচ্ছে ক্ষুদ্র, ছোট, ও মাঝারি শিল্পকে (এমএসএমই)। দেশের সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি এমএসএমই-কে নিয়ে করা এক সমীক্ষায় সেই ছবিই উঠে এসেছে।
এর আগে সংসদে কেন্দ্র জানিয়েছিল, লকডাউনের পরে দেশ জুড়ে একটি অনলাইন সমীক্ষা চালিয়েছে ‘ন্যাশনাল স্মল ইন্ড্রাস্ট্রিজ় কর্পোরেশন’। রিপোর্টে জানানো হয়, এই সময়ের মধ্যে ৯% এমএসএমই-র ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে। আবার বিরোধী কংগ্রেসের দাবি, দেশের প্রায় ৬.৬৩ কোটি এমএসএমই-র মধ্যে৫৭ লক্ষই বন্ধ।
সম্প্রতি প্রায় ৫৬০০ এমএসএমই-কে নিয়ে এক সমীক্ষা চালায় ভারতীয় যুব শক্তি ট্রাস্ট। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি লক্ষ্মী বেঙ্কটরামন ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘‘ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। ফলে পণ্যের চাহিদাও নিম্নমুখী। সেই সঙ্গে জ্বালানির দর বৃদ্ধির জেরে বেড়েছে পরিবহণ খরচ। যার ফলে কাঁচামালের দামও বেড়েছে। গত ২৭ মাসে এই সমস্ত কিছুই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সংস্থাগুলির সামনে।’’
বুধবার চিনে নতুন করে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির সন্ধানে উদ্বেগ ছড়ানোর আগে পর্যন্ত অতিমারির প্রভাব ধীরে ধীরে কমছিল। সমীক্ষা রিপোর্টের বক্তব্য, নানা কারণে অর্থনীতি এখনও পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি। সমীক্ষায় প্রায় ২৭% সংস্থা জানিয়েছে, তারা ঠিক সময়ে ঋণ শোধ করতে পারছে না। ৫৩% অবশ্য জানিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে তারা করোনার আগের তুলনায় ভাল করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy