কর্মীদের পিএফের টাকা বকেয়া রাখায় জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন থানায় সাতটি চা বাগানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে আঞ্চলিক দফতর। পাঁচটি বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে। দুই জেলার প্রায় ৩৩টি চা বাগানের ম্যানেজারকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে দফতর। বাগানের সম্পত্তি কেন বাজেয়াপ্ত করা হবে না, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের চা বাগান শ্রমিকদের পাওনা পিএফের টাকা বকেয়া রাখার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে একাধিক বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডান-বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি। পিএফ অফিস ‘ঘুঘুর বাসায়’ পরিণত হয়েছে বলে তৃণমূল, বিজেপির শ্রমিক সংগঠনও অভিযোগ তুলেছে। এ বার পিএফ দফতর সূত্রের দাবি, ক’মাসের
মধ্যে সাতটি চা বাগানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বকেয়া পিএফ অন্তত ২০ কোটি টাকা। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। ওই সব বাগানে শ্রমিকদের থেকে টাকা কেটেও পিএফ তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি, সেই প্রাথমিক তথ্য দফতরে জমা পড়েছে। চা শ্রমিকদের বেতনের ‘স্লিপ’ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন টাকা জমা হয়নি। বকেয়া টাকা ফেরতও চাওয়া হয়েছে। পিএফ দফতর সূত্রে খবর, কিছু বাগান বকেয়া জমা দিলেও, একাংশ উত্তর দেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির আঞ্চলিক পিএফ কমিশনার পবন কুমার বনশল বলেন, “সাতটি বাগানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শ্রমিকদের বেতন থেকে কেটেও জমা না দেওয়া অন্যায়। না দিলে কড়া আইনি পদক্ষেপ হবে।”
জলপাইগুড়ির মালবাজার, নাগরাকাটা, বানারহাট ও জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকার কয়েকটি চা বাগানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি, হাসিমারা এলাকার তিনটি বাগানের বিরুদ্ধেও। বাগান পরিচালকদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের’ এক কর্তা বলেন, “সব সময় চা বাগান কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের পিএফের টাকা যথাসময়ে জমা দিতে বলা হয়। পাতার উৎপাদন, আবহাওয়ার তারতম্যে বহু সময়ে ক্ষতি হয়, সে ক্ষেত্রে পিএফ অফিসের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তা না করে টাকা জমা না দেওয়া সংগঠন সমর্থন করে না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)