E-Paper

বাণিজ্যে কি পাল্টা নীতি

কয়েক দিন আগেই তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এর পরে ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫৬

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভারত এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য নীতির প্রশ্নে ‘শঠে শাঠ্যৎ’ পন্থা নিয়ে চলছে কি না, এ বার সেই প্রশ্ন বড় আকার নিতে চলেছে। কয়েক দিন আগেই তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এর পরে ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। আজ এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও জানিয়েছেন ভারত চায় বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক। আমরা গণতান্ত্রিক, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের পাশে রয়েছি।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘গত সপ্তাহে আমরা তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত একটি ঘোষণা করেছি। স্থলবন্দর এবং বিমানবন্দরে যানজট তৈরি হওয়ায় কিছু পদক্ষেপ করতে হয়েছে। তবে আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি, আমাদের ঘোষণার আগে বাংলাদেশের তরফে কী ঘটেছে তার দিকে নজর রাখুন।”

সাউথ ব্লক সূত্রের বক্তব্য, সুতো আমদানি বন্ধের বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা। কিন্তু তারও আগে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত তিনটি স্থলবন্দর এবং একটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করেছে ইউনূস সরকার। গত মাসে বাংলাদেশের নৌপরিবহণ মন্ত্রকের অধীনে থাকা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের গঠন করা একটি যাচাই কমিটি এই সুপারিশ করেছিল। এর ফলে ভারতের আমদানি-রফতানি বাধাপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেই দাবি দিল্লির।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangladesh Muhammad Yunus

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy