দূষণ কমাতে তাপ বিদ্যুতের সঙ্গে সঙ্গে অপ্রচলিত বিদ্যুতেও জোর দিচ্ছে ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। দেশে প্রায় ৪০% বিদ্যুতের জোগান কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্র থেকে আসছে। দূষণ হ্রাসে অপ্রচলিত বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধির পক্ষে থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলে তা উৎপাদনের সুযোগ কম। যে কারণে বিদ্যুতের খরচ ভবিষ্যতে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ তথা অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুরেশ কুমার। তবে সে ক্ষেত্রে গ্রাহক মাসুলও বাড়বে কি না, তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।
বুধবার সিআইআইয়ের ‘এনার্জি কনক্লেভ’-এ কুমারের বক্তব্য, একমাত্র ওড়িশা ছাড়া পূর্বাঞ্চলের আর কোনও রাজ্যে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা খুব একটা উজ্জ্বল নয়। কিন্তু অপ্রচলিত বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হলে সৌর বা জল বিদ্যুৎ জোগানের পাশাপাশি পশ্চিম বা দক্ষিণ ভারত থেকে বিকল্প বিদ্যুৎ আনতে হবে। ভিন্ রাজ্য থেকে সেই বিদ্যুৎ জোগানের জেরেই পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বিদ্যুতের খরচ বাড়বে বলে তাঁর আশঙ্কা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বণ্টন সংস্থাগুলির খরচ বাড়লে তার দায় চাপতে পারে গ্রাহকের উপরে। তবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ভর্তুকি দিলে তা এড়ানো যেতে পারে।
এই সভায় কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব ঘনশ্যাম প্রসাদ সস্তায় বিদ্যুৎ দেওয়ার উপায় হিসেবে আগাম টাকা দেওয়ার (প্রিপেড মিটারিং) ব্যবস্থা চালুর পক্ষে কার্যত সওয়াল করেন। তাঁর বক্তব্য, বিদ্যুৎ সরবরাহের দিনেই দাম মেটালে বাড়তি ছাড় মিলবে। এতে বণ্টন সংস্থার আর্থিক বোঝাও কমবে। যার ফলে গ্রাহকের খরচ কমতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy