এখন থেকে আগামী সাত মাস ধরে প্রতি মাসে একটি করে নতুন বোয়িং বিমান আনতে চলেছে স্পাইসজেট। আরও ৩০০ কোটি টাকা লগ্নির সিদ্ধান্তও হয়েছে বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে। ঘুরে দাঁড়ানোর যে-প্রক্রিয়া শুরু করেছিল স্পাইস, এই সিদ্ধান্তে তা আরও দ্রুত সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ক’মাস আগেও আশঙ্কা ছিল, বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই সংস্থা। পাওনাদারদের টাকা মেটানো যাচ্ছিল না। আদালতের নির্দেশে সংস্থার ১১টি বিমান ফিরিয়ে দিতে হয়। কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাতিল হয় একের পর এক উড়ান। কার্যত হাত তুলে দেন স্পাইসের তখনকার মালিক কলানিধি মারান। ২০১০ সালে স্পাইস ছেড়ে যাওয়া অজয় সিংহ ফিরে এসে হাল ধরেন। কলানিধির থেকে সংস্থার এই অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কিনে নেন ৫৮% শেয়ার। ঠিক হয় নতুন করে ১৫০০ কোটি টাকা ঢালা হবে। সেই মতো শুরুতেই ৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করা হয়। তারপরে এ বার আরও ৩০০ কোটির ঘোষণা হল। মনে করা হচ্ছে, যে-উড়ানগুলি বাতিল করতে হয়েছিল, নতুন বিমান এলে সেগুলি পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।
এখন স্পাইসের হাতে ২০টি বোয়িং ও ১৫টি ছোট বম্বার্ডিয়ার বিমান আছে। ঠিক হয়েছে, নতুন করে ৪০ থেকে ৪৫টি বিমান কেনা হবে।
সবগুলিই বোয়িং বিমান।