গত সাধারণ বাজেটেই পিএফ সংক্রান্ত ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ফাইল চিত্র
বেশি টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখেন এমন চাকরিজীবীদের অ্যাকাউন্ট এখনই দু’ভাগ না-ও হতে পারে। জানা গিয়েছে, পরবর্তী সুদ জমা দেওয়ার আগে ভাগ করবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। গত সাধারণ বাজেট পেশ করার সময়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, যাঁরা প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ আড়াই লাখ টাকার বেশি জমান তাঁদের অতিরিক্ত বিনিয়োগের উপরে প্রাপ্য সুদ করযোগ্য হবে। এর পরেই জানা গিয়েছিল, ইপিএফও গ্রাহকদের পিএফ অ্যাকাউন্ট দু’ভাগে ভাগ করে ফেলবে। একটি থাকবে সাধারণ অ্যাকাউন্ট এবং অপরটি করযোগ্য বিনিয়োগের অ্যাকাউন্ট।
২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকেই নতুন আয়কর নীতি চালু হয়েছে। তাতে চাকরিজীবীদের চাপ অনেকটাই বাড়ছে। সঞ্চয়ের পাশাপাশি এত দিন কর বাঁচানোর বড় রাস্তা ছিল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (পিএফ) জমানো টাকা। কিন্তু নতুন নীতিতে পিএফ-এ জমানো টাকার সুদ চলে আসবে আয়করের আওতায়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই করের টাকা গুনতে হবে চাকরিজীবীদের। সাধারণ ভাবে ইপিএফও সুদ দেয় সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস নাগাদ। জানা গিয়েছে আগামী সেপ্টেম্বরের পরে সুদ দেওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট পিএফ অ্যাকাউন্টগুলি দু’ভাগে ভাগ করা হবে।
সম্প্রতি পিএফ-এর উপরে সুদের হার কমে ৮.১ শতাংশ হয়েছে। এটা স্বাভাবিক ভাবেই চাকরিজীবীদের আয় কমিয়ে দেবে। এর উপরে যাঁরা পিএফ বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি অর্থ জমান, তাঁদের আয়কর দিতে হবে। গত সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে নীতি ঘোষণা করেছেন তাতে বছরে আড়াই লাখ টাকার উপরে পিএফে সঞ্চয় হলে সুদের উপরে কর দিতে হবে। এত দিন কর বাঁচাতে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পিএফ বাবদ জমানো যেত। কিন্তু এ বার সব ধরনের প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর্মীদের দেয় টাকা বছরে ২.৫ লক্ষ পার হলেই আর কর রেহাই মিলবে না তার উপরে সুদের আয়ে। বাজেট পেশের সময়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘বেশি আয় যাঁদের, তাঁদের অনেকে কর ছাড়ের সুবাদে বিপুল টাকা পিএফে ঢুকিয়ে সুবিধা নিচ্ছেন। তা রুখতেই এই পদক্ষেপ।’’ তাঁর মতে, এই করের আওতায় পড়বেন পিএফ সদস্যদের মাত্র ১ শতাংশ, যাঁরা মূলত উচ্চবিত্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy