E-Paper

হেরে গেল ‘স্টারবাক্‌স’, আইনি লড়াইয়ে জিতল ‘সাত্তারবাক্‌স’

২০১৩ সালে করাচির দুই যুবক রিজ়ওয়ান আহমেদ এবং আদনান ইউসুফ সাত্তারবাক্‌শ চালু করেন। সবুজ রঙের লোগো এবং তার লেখার সাদৃশ্যে চমকে যেতে পারেন যে কেউ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫২
(বাঁ দিকে) স্টারবাক্‌স এবং সাত্তারবাক্‌শ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) স্টারবাক্‌স এবং সাত্তারবাক্‌শ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

বিপণির ‘রিবক’ আর ফুটপাথের ‘রিবিউক’। আসল-নকলের পার্থক্য বানানে। শোলার বাক্সে বিক্রি হওয়া ‘কোলিটি’ আইসক্রিমের গল্পও একই। কড়া প্রতিযোগিতার বাজারে এ বার এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার ঘিরে জটিলতা বাড়ছে। কারণ, পাকিস্তানের আদালতে আন্তর্জাতিক ক্যাফে চেন ‘স্টারবাক্‌স’-কে জমি ধরিয়ে ছেড়েছে তার থেকেই প্রেরণা নিয়ে তৈরি ‘সাত্তারবাক্‌শ’। বিচারককে তারা বোঝাতে সমর্থ হয়েছে, নামে কিংবা লোগোতে সামান্য মিল থাকলেও এই দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা।

২০১৩ সালে করাচির দুই যুবক রিজ়ওয়ান আহমেদ এবং আদনান ইউসুফ সাত্তারবাক্‌শ চালু করেন। সবুজ রঙের লোগো এবং তার লেখার সাদৃশ্যে চমকে যেতে পারেন যে কেউ। তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, সংস্থার নামটাই আলাদা। মৎসকন্যার বদলে উপস্থিত মোটা গোঁফওয়ালা এক পুরুষ। সাত্তারবাক্‌শের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় স্টারবাক্‌স। দীর্ঘদিন ধরে চলে শুনানি। শেষ পর্যন্ত রায় গিয়েছে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্যাফে চেনের পক্ষে। যাদের যুক্তি, আন্তর্জাতিক সংস্থাটির ‘অনুপ্রেরণা’ থাকলেও, একে ‘নকল’ বলা যাবে না।

সমাজমাধ্যমে অনেকে দাবি করছেন, সাত্তারবাক্‌শকে শুধু ক্যাফে চেন বলা যাবে না। সেখানে স্থানীয় অনেক খাবারও পাওয়া যায়। একটি পিৎজ়ার নাম ‘এলওসি’। যার অর্ধেক আমিষ, বাকি অর্ধেক নিরামিষ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Starbucks Coffee Pakistan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy