E-Paper

আমদানি করতে হয় প্রায় ৮৬%, অবিলম্বে স্বর্ণনীতির সওয়াল স্টেট ব্যাঙ্কের রির্পোটে

ভারতে সোনার চাহিদার বেশির ভাগটাই আমদানি করে মেটাতে হয়। রিপোর্ট বলছে, এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তার দাম বাড়লে তা কিনতে ডলার লাগে বেশি। ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দাম কমে টাকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৪

—প্রতীকী চিত্র।

লাফিয়ে বেড়েছে সোনার দাম। ইতিমধ্যেই লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে স্বর্ণনীতি প্রণয়ন করা জরুরি বলে দাবি করল ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের অর্থনৈতিক গবেষণা বিভাগের রিপোর্ট।

ভারতে সোনার চাহিদার বেশির ভাগটাই আমদানি করে মেটাতে হয়। রিপোর্ট বলছে, এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তার দাম বাড়লে তা কিনতে ডলার লাগে বেশি। ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দাম কমে টাকার। চড়া দামের জেরে রফতানির অঙ্ককে ছাড়িয়ে যায় আমদানি, যা ঠেলে তোলে বাণিজ্য ঘাটতিকে। অর্থাৎ সোনার দামের ওঠানামা সরাসরি দেশের অর্থনীতির উপরে প্রভাব ফেলে। তাই অবিলম্বে দেশে স্বর্ণনীতি চালু করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মূলত ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আমেরিকার চড়া শুল্ক বসানোর নীতির জেরে বিশ্ব অর্থনীতির টানাপড়েন সোনার মতো সুরক্ষিত লগ্নির উপর আস্থা বাড়িয়েছে। দ্রুত লগ্নি বৃদ্ধি তার চাহিদা বাড়িয়ে দামকে ঠেলে তুলেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ধাতুটির দাম বেড়েছে ৫০শতাংশেরও বেশি।

ভারতে সোনার মোট চাহিদার ৮৬ শতাংশই আমদানি করে মেটাতে হয়। ২০২৪-এ দেশে তার চাহিদা ছিল ৮০২.৮ টন। গোটা বিশ্বের ২৬%। চাহিদা বৃদ্ধির নিরিখে স্থান বিশ্বে দ্বিতীয়, চিনের পরেই। এ বছর তা আরও বেড়েছে। রিপোর্টে দাবি, অর্থনীতির উপরে এই সব কিছুর প্রভাবের কারণেই স্বর্ণনীতি জরুরি হয়ে পড়েছে। যাতে তার দাম, মজুত, লেনদেন-সহ কোনও কিছুই মাত্রাছাড়া না হয়। মূলত যে সব বিষয়ে নীতি প্রণয়ন জরুরি, তার মধ্যে রয়েছে লগ্নির জন্য সাধারণ মানুষের আকর্ষণ সোনা থেকে কিছুটা সরানো। এ ছাড়া, সোনার জোগান নিয়ন্ত্রণ, চোরা পথে আমদানি রোখা, দেশের বাজারে দামকে নিয়ন্ত্রণের রাখার মতোবিষয়ও আছে।

তার উপর গৃহস্থ পরিবার, বিভিন্ন মন্দির, ব্যাঙ্কের লকার-সহ বিভিন্ন জায়গায় সোনা যাতে অনুৎপাদনশীল ভাবে পড়ে না থাকে, সে জন্য কেন্দ্র জাতীয় স্বর্ণ বন্ড এনেছিল। কিন্তু দাম অতিরিক্ত চড়ায় বন্ডের টাকা মেটাতে গিয়ে প্রায় ৯২,২৮৪ কোটি টাকা লোকসান গুনছে তারা। এসবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি, জাতীয় নীতি দরকার এই ধরনের সঙ্কটগুলি এড়াতেও। স্বর্ণনীতি চালুর প্রস্তাবকে স্বাগত জানান বিশেষজ্ঞরা। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান পঙ্কজ পারেখ বলেন, ‘‘বিভিন্ন মন্দিরের অছি পরিষদের কাছে বিপুল সোনা রয়েছে। সেগুলি কী ভাবে বাজারে ছাড়া যায়, তা স্বর্ণনীতি তৈরির সময় মাথায়রাখা জরুরি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

monitoring SBI

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy