—প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র রিপোর্ট বলেছে, গত মাসে ভারতে বেকারত্বের হার পেরিয়েছে ১০%। দু’বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলে তা ১১% ছুঁইছুঁই। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই একে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কাজের বাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতরের পিএফএলএস রিপোর্ট তুলে ধরে স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্টে দাবি, দেশে বেকারত্ব নজিরবিহীন তলানিতে নেমেছে। শুধু তা-ই নয়, সেখানে সিএমআইই-র মতো উপদেষ্টার কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সমীক্ষায় ত্রুটির কথাও বলা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, ওই সমীক্ষাগুলিতে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করার পদ্ধতিতে গোলমাল রয়েছে।
রিপোর্টে ইঙ্গিত, বেকারত্ব একটি বিতর্কিত এবং রাজনৈতিক বিষয়। যে কারণে তা চোখে পড়ার মতো কমার পরেও আমজনতার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ভুল ব্যাখ্যা। একাংশ পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে বসে আছেন।
স্টেট ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদদের দাবি, কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে চলেছে এ দেশের কাজের বাজার। সেটাই বেকারত্ব কমার প্রধান কারণ। তাঁরা কর্মসংস্থানের মতো বিষয়ে চোখ রাখার আগে সংশ্লিষ্ট মহলকে পুরনো ধারণা বদলের ডাক দিয়েছেন। আক্ষেপ করেছেন, কর্মসংস্থানের হিসাবে স্বনির্ভর মানুষের সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে (২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের ৫২.২ শতাংশর জায়গায় এখন ৫৭.৩%) দেশে। যার মধ্যে অন্যতম গৃহ সহায়িকাদের ভাগ বৃদ্ধি। শ্রম বাজার বিষয়ক বিশেষজ্ঞেরা তাকেই কর্মসংস্থানের সুযোগ কমার ইঙ্গিত বলে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
কাঠামোগত পরিবর্তনের কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা এবং স্ট্রিট ভেন্ডর্স আত্মনির্ভর নিধির মতো প্রকল্প মারফত কেন্দ্রের উদ্যোগপতি তৈরিতে জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে। তাতে দাবি, এগুলি এসেছে সমাজের নিচু তলার বাসিন্দাদের জন্য। তাই সব শ্রেণির মানুষেরই আয় বেড়েছে। ৮০ কোটি মানুষকে নিখরচায় খাদ্যপণ্য বিলি, আয়ুষ্মান ভারত, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সাহায্যে সরকার সকলের খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসার প্রয়োজনের দিকটাও খেয়াল রাখছে। যার হাত ধরেই বদলে যাওয়া শ্রম বাজার বেকারত্ব কমাচ্ছে। রিপোর্টে ইঙ্গিত, এই বদল ধরা পড়ে না সিএমআইই-র মতো সংস্থার কর্মসংস্থান পরিসংখ্যানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy