Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
CESC

সিইএসসি-র বিদ্যুতের মাসুল বাড়াল না কমিশন

করোনাকালে চড়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিল সিইএসসি। বকেয়ার হিসাবে অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল অনেকের মধ্যে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:১৬
Share: Save:

করোনাকালে চড়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিল সিইএসসি। বকেয়ার হিসাবে অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল অনেকের মধ্যে। এরই মধ্যে সংস্থার বিদ্যুতের মাসুল হার সংশোধন নিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সাম্প্রতিক নির্দেশ গ্রাহকদের সাময়িক স্বস্তি দিল। খরচ বৃদ্ধির যুক্তিতে সিইএসসি ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালের মাসুল বৃদ্ধির আর্জি জানালেও কমিশন বলেছে, গড় মাসুল ও মাসিক পরিবর্তনশীল খরচ (মূলত জ্বালানির) ধরে যে হার চালু রয়েছে, ওই দুই অর্থবর্ষের খরচ তুলতে (এগ্রিগেট রেভিনিউ রিকোয়্যারমেন্ট বা এআরআর) তা যথেষ্ট। সিইএসসি অপ্রচলিত বিদ্যুৎ কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি বলেও জানিয়েছে কমিশন। কমিশনের নির্দেশ সম্পর্কে সিএইএসসি-র প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

ওই দুই অর্থবর্ষের জন্য ইউনিট প্রতি সিইএসসি-র প্রস্তাব ছিল যথাক্রমে ৮.৩২ টাকা ও ৮.৫১ টাকা। জ্বালানির খরচ বাড়ায় মাসুল হার বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল তারা। কিন্তু কমিশন স্থির করেছে ইউনিটে ৭.৩১ টাকা। ২০১৭-১৮ সালে মাসুল ছিল ৭.০২ টাকা। মাসে জ্বালানির পরিবর্তনশীল খরচ (মান্থলি ভেরিয়েবল কস্ট অ্যাডজাস্টমেন্ট বা এমভিসিএ) ধরা হয়েছিল ২৯ পয়সা। এ বার মাসুলেই এমভিসিএ-কে জুড়েছে কমিশন। বলেছে, এমভিসিএ নিয়ে বর্তমান মাসুল হার বাবদ সংস্থার আয় ওই দুই অর্থবর্ষের খরচ তোলার জন্য যথেষ্ট। গত বছরে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার জন্য সর্বশেষ নির্দেশেও কমিশন তাদের মাসুল হার বদলায়নি।

তিন বছরের জন্য বণ্টন সংস্থাগুলির মাসুল হার নির্ধারণ করে কমিশন। বিদ্যুৎ মহল সূত্রের খবর, প্রচলিত নিয়মে সব খরচ ধরে তা আদায়ের জন্য (এআরআর) সংস্থা আর্জি জানায়। তা খতিয়ে দেখে মাসুল স্থির করে কমিশন। পরে এমভিসিএ বাড়লে সেটা বিলে যুক্ত হয়। অর্থবর্ষ শেষে খরচ পুনর্মূল্যায়নের (অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স রিভিউ) সময় মোট খরচ আদায়ের চেয়ে বেশি ও যুক্তিগ্রাহ্য হলে, তা পরের যে বছরের মাসুল সংশোধন বাকি তার সঙ্গে যোগ হয়। আদায় বেশি হলে বাড়তি মেটানো টাকা ফেরত পান গ্রাহক। সিইএসসি-র ক্ষেত্রেও সেই পথ খোলা। এমভিসিএ বাবদ বাড়তি অর্থ সংগ্রহের উপায়ও থাকছে। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিল বাড়বে।

সিইএসসি-র মাসুল বৃদ্ধির প্রস্তাবে আপত্তি গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকার। তাদের দাবি, এমভিসিএ বাবদ ২৯ পয়সা চার্জও যুক্তিগ্রাহ্য নয়। কারণ ২০১৮ সালে কয়লার দাম কমার কথা বলেছিল কোল ইন্ডিয়া।

রাজ্যে বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধি চায় না তৃণমূল। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার মাসুল কখনও বাড়লেও, গ্রাহকের বোঝা কমাতে ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। তবে একাংশের দাবি, মাসুল বৃদ্ধিতে রাশ টানলে বণ্টন সংস্থাগুলির বোঝা বাড়বে। সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া কঠিন হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CESC electricity electricity bill
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE