Advertisement
E-Paper

চর্মনগরীর পরিকাঠামো ঢেলে সাজছে রাজ্য

নোট সঙ্কটে বিপর্যস্ত চর্মশিল্পে প্রলেপ দিতে বানতলা চর্মনগরীতে ১০০ কোটি টাকা ঢালছে রাজ্য সরকার।

গার্গী গুহঠাকুরতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭ ০২:০৫

নোট সঙ্কটে বিপর্যস্ত চর্মশিল্পে প্রলেপ দিতে বানতলা চর্মনগরীতে ১০০ কোটি টাকা ঢালছে রাজ্য সরকার।

নোট বাতিলের জেরে রাজ্যের চর্মশিল্পে লোকসানের ক্ষত এখনও দগদগে। বানতলায় উৎপাদন ও রফতানি তলানিতে ঠেকেছে। রফতানি বাজারে মুখ পুড়েছে রাজ্যের চর্মশিল্পের। চুক্তি অনুযায়ী সময়ে সরবরাহ না-করার কারণে গত বছরের শেষে ইউরোপ, আমেরিকার ক্রেতারা এক লপ্তে ৫০০ কোটি টাকার বরাত বাতিল করে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এই ডামাডোল কাটিয়ে ছন্দে ফিরতে বানতলার পরিকাঠামো উন্নয়নকেই বাজি ধরছে রাজ্যের চর্মশিল্প। কারণ পরিকাঠামো উন্নত হলে কমবে উৎপাদন খরচ। বাড়বে দেশি-বিদেশি বরাত। রাজ্যের শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, বানতলার পরিকাঠামো ঢেলে সাজতে রাজ্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই শিল্প তালুকের সবচেয়ে বড় সমস্যা দূষণ ঠেকাতে কমন এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা সংস্কার করা হবে। এই বাবদ খরচ ৬০ কোটি। এ ছাড়া ১৪ কোটিতে তৈরি হচ্ছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। রাস্তা, কঠিন বর্জ্য পরিশোধন, বৃক্ষ রোপণ ও নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতিতে খরচ আরও ২৫ কোটির বেশি। এ প্রসঙ্গে কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টস-এর পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা রমেশ জুনেজার দাবি, উন্নত পরিকাঠামোর ফলে উৎপাদন বাড়বে ৩৫%। ব্যবসা বাড়বে ৫০%।

প্রলেপ নোটের ক্ষতে

লগ্নি ১০০ কোটি

সংস্কার বর্জ্য শোধন ব্যবস্থার

রাস্তা ও নিকাশির উন্নয়ন

প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা

রফতানির হাল ফেরানো

জন্মলগ্ন থেকেই বানতলা চর্মনগরীকে তাড়া করে ফিরছে পরিকাঠামোর অভাব। ১১০০ একরের এই শিল্প তালুকে চর্মশিল্পের পাশাপাশি রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পও। দু’টি শিল্পের এগিয়ে যাওয়ার পথেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দূষণ। এই দূষণের জেরেই চর্মনগরীতে ৩০০টি সংস্থার লগ্নি থমকে রয়েছে। আটকে রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানও।

শুধু দেশের বাজারেই নয়। বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে আধুনিক পরিকাঠামো কাজে লাগিয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি জুনেজার। এমনিতেই নোট বাতিলের জেরে ২৫ শতাংশ ব্যবসা কমে গিয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপানে রফতানি কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি। হারানো জমি ফেরাতে বানতলায় পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জুতো-পার্ক তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে তাঁরা প্রস্তুত বলে দাবি জুনেজার। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তা সেই পরিকল্পনায় গতি আনবে বলেই মনে করেন তিনি।

Leather Industry
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy