Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

কৃষি ঋণ মকুবে দায় রাজ্যেরই

কৃষি ঋণ মকুবের দাবি তুলে বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জেটলির এই মন্তব্যের বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ব্যাঙ্ককর্তাদের জেটলি এ দিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন: যে-সব রাজ্য এই পথে হাঁটবে, তাদেরই তার আর্থিক দায় মেটাতে হবে।

অরুণ জেটলি

অরুণ জেটলি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ০৩:৩২
Share: Save:

কৃষি ঋণ মকুব করলে তার দায় নেবে না কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে নিজের কোষাগার থেকেই তা মেটাতে হবে বলে ব্যাঙ্ককর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সোমবার কড়া বার্তা দিয়েছেন অরুণ জেটলি। পাশাপাশি, তিনি জানান, দেউলিয়া আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কঋণ-খেলাপিদের তালিকা তৈরি করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও শীঘ্রই নেওয়া হবে।

কৃষি ঋণ মকুবের দাবি তুলে বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জেটলির এই মন্তব্যের বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ব্যাঙ্ককর্তাদের জেটলি এ দিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন: যে-সব রাজ্য এই পথে হাঁটবে, তাদেরই তার আর্থিক দায় মেটাতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার তা ঘাড়ে নেবে না। উল্লেখ্য সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সরকার কৃষি ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করেছে। অন্য দিকে মধ্যপ্রদেশেও কৃষি ঋণ মকুব নিয়ে আন্দোলনের মুখে এ বিষয়ে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্য ছোট চাষিদের জন্য ঋণ মকুবের কথা প্রথম ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

অনুৎপাদক সম্পদ কী ভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জেটলি। অর্থমন্ত্রী জানান, ‘‘কোন কোন ঋণ-খেলাপির বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তা বেরোলেই তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি কেন্দ্র ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধন করে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। সেখানে অনুৎপাদক সম্পদ মোকাবিলা করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তা প্রয়োগ করেই ঋণ-খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

ব্যাঙ্ককর্তাদের জেটলি জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে মোট মুনাফা (অপারেটিং প্রফিট) করেছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু অনুৎপাদক সম্পদ-সহ বিভিন্ন খাতে আর্থিক সংস্থান করার পরে নিট লাভ দাঁড়িয়েছে ৫৭৪ কোটি টাকা।

বৈঠকে উপস্থিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর এস এস মুন্দ্রা জানান, অর্ডিন্যান্সে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। প্রথমত, ব্যাঙ্কঋণের উপর নজর রাখার জন্য যে-বিশেষ কমিটি গড়ার কথা বলা হয়েছে, তার আয়তন এবং ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, অনুৎপাদক সম্পদের তালিকায় আসা কোন কোন অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে, তা চিহ্নিত করা জরুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE