ফের গতি হারাল শেয়ার বাজার। সপ্তাহের প্রথম দিনেই সেনসেক্স নেমে গেল প্রায় ১৫৯ পয়েন্ট। দাঁড়াল ২৫,৬৭৯ অঙ্কে। নিফটিও প্রায় ৪৪ পয়েন্ট পড়ে ৭,৮৫৫.০৫ অঙ্কে থিতু হয়েছে। ফলে এই নিয়ে টানা দু’দিনের লেনদেনে নামতে দেখা গেল বাজারকে।
এ দিন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও পড়ে গিয়েছে ১৪ পয়সা। এক ডলার হয়েছে ৬৬.৬২ টাকা। এই নিয়ে টাকার দামও পড়ল টানা তিন দিন।
বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, মূলত লগ্নিকারীদের হাতের শেয়ার বেচে মুনাফা ঘরে তোলার তাগিদই এ দিন সূচকের পতনের জন্য দায়ী। তবে পাশাপাশি ইন্ধন জুগিয়েছে আরও কয়েকটি বিষয়। সেগুলি হল—
• আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরোপের বেশির ভাগ শেয়ার বাজারের পতন। চলতি সপ্তাহেই জাপান ও আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বৈঠকে বসছে। নিজের নিজের দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ করতে পারে দুই ব্যাঙ্কই। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, বিশ্ব জুড়ে লগ্নিকারীরা তাই সতর্ক। হয় তাঁরা মুনাফা নিশ্চিত করতে আগেভাগেই শেয়ার বেচে দিচ্ছেন, নয় আপাতত লগ্নি থেকে হাত গুটিয়ে রয়েছেন। ফলে সারা বিশ্বেই পড়ছে বাজার।
• সোমবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার পরে লগ্নিকারীদের আগাম সাবধানতা। পণ্য-পরিষেবা কর-সহ আরও কিছু বিল এ বারও পাশ হবে কি না, তাই নিয়ে দ্বিধামুক্ত নন তাঁরা।
• গত অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বিপুল মুনাফা করেও রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দরের ২.১৮% নেমে যাওয়া। যার কারণ, গোষ্ঠীভুক্ত রিলায়্যান্স জিও-র ৪জি পরিষেবা চালুর দিনক্ষণ এখনও না-জানানো।
• কেয়ার্ন ইন্ডিয়ার শেয়ার দর ৪.১৩% নেমে যাওয়া। গত মার্চে শেষ হওয়া তিন মাসে সংস্থার এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি ত্রৈমাসিক লোকসানের মুখ দেখাই যার কারণ।
• মারুতি-সুজুকি, ওএনজিসি, এনটিপিসি, টাটা স্টিল, ভেল আইটিসি, সান ফার্মা, এইচডিএফসি, সান ফার্মা, টাটা মোটরসের মতো বেশ কিছু বড় সংস্থার শেয়ার দরে পতন।