তিন দিন পতনের পরে শুক্রবার বড় লাফ দেখা গেল সূচকের। সেনসেক্স বেড়েছে ১০৪৬.৩০ পয়েন্ট। নিফ্টি ৩১৯.১৫ পয়েন্ট। সূচক দু’টি দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮২,৪০৮.১৭ এবং নিফটি ২৫,১১২.৪০ অঙ্কে। ডলারের সাপেক্ষে বেড়েছে টাকার দামও। প্রতি ডলার ডলার ১৮ পয়সা কমে হয়েছে ৮৬.৫৫ টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান-ইজ়রায়েল সংঘর্ষের আঁচ কমায় খুশি লগ্নিকারীরা। তার জের পড়েছে বাজারে।
অশোধিত তেলের জোগানে ইরানের বড় ভূমিকা রয়েছে। ফলে ইজ়রায়েলের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ চলতে থাকলে জ্বালানির জোগানে বিপর্যয় নামতে পারে। তাই দেশগুলি চাইছে অবিলম্বে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ হোক। বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ বলেন, “বাজার মনে করছে, শীঘ্রই দুই দেশের সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হবে। এই আশাতেই চাঙ্গা হয়েছে সূচক।’’
অপর বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর মতে, পশ্চিম এশিয়ার সংঘর্ষ বাদ দিলে ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি বাজারের অনুকূলেই রয়েছে। গত ছ’মাসে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ১০০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছে। আয়কর ছাড় বাড়ায় চাহিদা মাথা তুলবে বলে আশা। পূর্বাভাস অনুযায়ী বর্ষা ভাল হলে চাহিদা বাড়বে গ্রামে। তাই যুদ্ধ বিরতি হলে দেশে সূচক উঠতে পারে। তবে তাঁর বক্তব্য, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে আমেরিকার চাপানো বাড়তি শুল্কে স্থগিতাদেশ শেষ হবে ৯ জুলাই। তার মধ্যে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি হয় কি না অথবা তার পরে বাড়তি শুল্ক চাপে কি না, তাতেই নজর থাকবে বাজারের।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল বৃহস্পতিবার ব্যারেলে ৭৯ ডলারের কাছে পৌঁছনোর পরে শুক্রবার নেমেছে ৭৬ ডলারে। তা বাজারকে খুশি করেছে বলে জানাচ্ছেন পটনা আইআইটি-র অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)