ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারকে অস্থির করল। দিনভর ওঠানামা করে শেষে সেনসেক্স থামল বুধবারের থেকে ৪১১.৯৭ পয়েন্ট নীচে, ৮০,৩৩৪.৮১ অঙ্কে। লগ্নিকারীদের শেয়ার সম্পদ কমল ৫ লক্ষ কোটি টাকা। তবে সকালের দিকে এক বার ৮০,৯২৭.৯৯-এ উঠে গিয়েছিল সেনসেক্স। গতি হারিয়ে দিন শেষ করার আগে প্রায় ৭৫৯ পয়েন্ট পড়ে নেমে যায় ৭৯,৯৮৭.৬১ অঙ্কে। নিফ্টি দিন শেষ করেছে ২৪,২৭৩.৮০-তে। পড়েছে ১৪০.৬০।
ভূ-রাজনৈতিক উত্তাপ এ দিন টাকার দামেও ধস নামিয়েছে। এক ডলার প্রায় ৮৪ পয়সা উঠেছে এ দিন। হয়েছে ৮৫.৬১ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের শেয়ার বাজার যে বিরাট নড়বড় হয়ে পড়েছে তা নয়। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে যে ভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মধ্যে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তাতে সে দেশের তরফে পাল্টা আঘাতের আশঙ্কা ছিলই। ফলে সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনা অপ্রত্যাশিত নয়। এই পরিস্থিতিতে এ দিন লেনদেনের শেষ দিকে হাতের শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা ঘরে তুলতে দেখা যায় লগ্নিকারীদের। তার উপর আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, আগ্রাসী শুল্ক নীতি সে দেশে মূল্যবৃদ্ধির হারকে ঠেলে তুলতে পারে। বাড়াতে পারে বেকারত্ব। যা গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সব মিলিয়ে লগ্নিকারীদের উদ্বেগেরই প্রতিফলন ঘটেছে শেয়ার এবং টাকার দামে। বাজার বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ বলেন, “আগামী বেশ কিছু দিন বাজার অস্থির থাকবে বলেই আমার ধারণা। ফলে দ্রুত ওঠানামা করবে সূচক। মুনাফার সুযোগ থাকলে, হাতের শেয়ার বিক্রি করে তা ঘরে তুলে নেওয়াই ভাল।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)