ডিজিটাল প্রতারণা থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে পড়ুয়াদের মাঠে নামাচ্ছে কেন্দ্রীয় টেলিকম বিভাগ (ডট)। প্রকল্পের নাম ‘সঞ্চার মিত্র’। ডট-এর দাবি, এর আওতায় সবক’টি টেলিকম সার্কলে মানুষকে সচেতন করবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা।
যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অভিযোগ, ‘সঞ্চার মিত্র’ সম্পর্কে কেন্দ্রের নির্দেশ স্পষ্ট নয়। পরিকাঠামো ও পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। ফলে প্রকল্প সফল ভাবে বাস্তবায়িত হওয়া নিয়ে সংশয় থাকছেই। সূত্রের দাবি, ডট গোটা দেশে পড়ুয়াদের বাছাই করে স্বেচ্ছাসেবকের কাজে লাগিয়েছে। তাঁরা প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা সম্পর্কে এলাকার সাধারণ মানুষকে তথ্য দেবেন। ডিজিটাল ব্যবহারের ঝুঁকি কমানোর দিশা দেখাবেন। সূত্রের বার্তা, সরকারের লক্ষ্য দেশবাসীকে জালিয়াতি থেকে বাঁচানো, প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা এবং সঞ্চার সাথি অ্যাপকে জনপ্রিয় করা।
এ রাজ্যে যেমন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইসেন্সড এরিয়া’-র তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি খড়্গপুর, আইআইইএসটি শিবপুর, আইআইআইটি কল্যাণী, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এক বছর তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক প্রচার চালাবেন।
একাংশের দাবি, কী ভাবে প্রচার চালাতে হবে তা স্পষ্ট নয়। টেলিকম বিভাগের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইসেন্সড এরিয়ার’ সিনিয়র ডিজি প্রদীপ গুপ্ত জানান, নিজেদের এলাকা, আবাসন, পাড়া কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রচার চলবে। তবে এ নিয়ে কোনও শিবির ডট কিংবা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করবে না। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ছাড়া আর কোনও সহায়তা দেওয়া যাবে না।
অনেকেরই প্রশ্ন, অনভিজ্ঞ পড়ুয়ার পক্ষে এই ধরনের প্রচার কী ভাবে করা সম্ভব? আপাতত কোনও আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে না। প্রদীপ বলছেন, ‘‘মূলত প্রযুক্তি সম্পর্কে যাঁদের আগ্রহ এবং কিছুটা জ্ঞান আছে, তাঁদের নেওয়া হয়েছে। ছাত্রসমাজ নিজেদের চারপাশ নিয়ে ভাবলেই আমাদের কাজ সহজ হবে।’’ একাংশের মতে, একা পড়ুয়ার পক্ষে কী ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ও পরিকল্পনা ছাড়া প্রচার সম্ভব, তা স্পষ্ট নয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)